বাংলা চলচ্চিত্র অভিভাবকহীন ২ বছর ধরে

পিবিএ: অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন সহকর্মীরা…..

আলমগীর

একটা সময় ছিল উত্তম কুমার, দিলীপ কুমার হতে চাইতাম। তাদের ছবি দেখে দেখে তাদের মতো হওয়ার ইচ্ছে জাগতো। পরবর্তীতে যখন নিজেই নায়ক হয়ে চলচ্চিত্রে এলাম, পেয়ে বসলো নায়করাজ রাজ্জাক হওয়ার ইচ্ছে। আমি তখন থেকে আজও চেষ্টা করে যাচ্ছি তার মতো হওয়ার। ১৯৭২ সালে ‘আমার জন্মভূমি’ ছবির মাধ্যমে আমি সিনেমায় আসি। ওই ছবিতে রাজ্জাক-কবরী জুটিও ছিল। তখন থেকেই নায়করাজের প্রতি মুগ্ধতা আমার। রাজ্জাক ছিলেন আমার বড় ভাইয়ের মতো। উনার সঙ্গে আমার কত স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না।”

সৈয়দ হাসান ইমাম

স্ত্রী-বাচ্চাকে নিয়ে ১৯৬৪ সালে রাজ্জাক কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসেন। এসে স্ট্রাগল করতে শুরু করেন। থিয়েটারে কাজ করার জন্য ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। তখনই আমার সঙ্গে পরিচয়। এরপর সে আবদুল জব্বারের ইকবাল ফিল্মসে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর জহির রায়হানের সঙ্গে দেখা করে সে। ‘বেহুলা’ ছবিতে লখিন্দরের চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবি সুপারহিট হয়। রাজ্জাকের ক্যারিয়ার ঘুরে যায়। গুলশানের বাসায় প্রতি মাসে পার্টি হতো। আমরা সবাই সেখানে যেতাম। তিনি খুব বিনয়ী ছিলেন। এত বড় তারকা তবুও তার কোনো অহঙ্কার ছিল না।

পিবিএ/ এমআই

আরও পড়ুন...