বাইকে ইবির তিন শিক্ষার্থীর তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ

নাজমুল হুসাইন,ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ফোরকান রহমান, আব্দুর রিফাত ও আতাউর রহমান সম্প্রতি মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করেছেন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। ঘুরেছেন বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে, দেখেছেন বাংলার অপার সৌন্দর্য। তিন বন্ধুর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বাইকে ভ্রমণ করবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে গত ৩রা অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৯ অক্টোবর শেষ হয় তাদের স্বপ্নের মোটরসাইকেলে ভ্রমণ।

তাদের কাছে ভ্রমণ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমরা ৩জন গত জুলাই মাস থেকে প্লানিং শুরু করি তেঁতুলিয়া টু টেকনাফ বাইক রাইডের। সকলেই শিক্ষার্থী হওয়ায় ক্লাস এর কথা চিন্তা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অক্টোবর মাসের ৩ তারিখ থেকে টানা এক সপ্তাহের পূজার ছুটি থাকায় আমরা এই সময়টা বাছাই করি। তারপর ৩রা অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টায় আমরা ঝিনাইদহ আরাপপুর মোড়ে একত্রিত হয়ে বাইক রাইড ,শুরু করি। প্রথম দিনে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাবনা -নাটোর-নওগাঁ-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় পৌছেঁ যায়। দ্বিতীয় দিন পঞ্চগড়-নিলফামারী-সৈয়দপুর – রংপুর । তৃতীয় দিনে রংপুর-শেরপুর-বগুড়া-সিরাজগঞ্জ-টাঙ্গাইল-গাজীপুর-নারায়নগঞ্জ-কুমিল্লা । চতুর্থ দিনে কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, রামুতে। এর পরদিন ৭ অক্টোবর সকাল ৯ টায় আমরা টেকনাফ জিরো পয়েন্টে পৌছাঁই । তার পরের দিন সকালে আমরা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম আসি। ৯ তারিখ সকালে আমরা চট্টগ্রাম থেকে রওনা করি অবশেষে ওইদিন রাত ৯ টায় পুনরায় ঝিনাইদহ পৌছাঁই এবং রাইড সম্পন্ন হয়।

এত দীর্ঘ পথের ভ্রমণে অনেক অর্থের প্রয়োজন । এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই ট্যুরের বাজেট অনেক বেশি ছিল । যা ছাত্র হিসেবে আমাদের পক্ষে এত টাকা ম্যানেজড করা পসিবল ছিলনা।
সেই সময় আমাদের মাথায় স্পনসরসিপের পরিকল্পনা আসে। আমরা এ ব্যাপারে বেশ কয়েকটা কোম্পানির কাছে এ্যপ্রোচ করলেও তেমন কোনো সাড়া পাইনি। এদিকে ট্যুরের ডেট আগাতে থাকে আর আমাদের কোনো স্পনসরও ম্যানেজ হচ্ছিল না। সে সময় এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, ট্যুরটা সম্ভবত ক্যানসেল হয়ে যাবে। ভ্রমণের মাত্র অল্প কিছুদিন আগে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড (ঝিনাইদহ মেট্রো) আমাদের অ্যাপ্রোচ করে এবং তারা জানায় যে আমাদের ট্যুরের টোটাল ফুয়েল কস্টিং তারা দিবে। শেষ মুহূর্তে এটা আমাদের জন্য একটা বড় উপকার ছিল। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ দিলেও কম হবে। অবশেষে ভ্রমণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করি।

এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের উদ্দেশ্যে ছিল হাইওয়েতে প্রোপার সেফটি মেইনটেইন করে বাইক চালানোতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা।

তারা আরও বলেন, অদক্ষ ড্রাইভার, ফিটনেস বিহীন গাড়িতে সয়লাব মহাসড়কগুলো। তাই সাবধানে রাইড করার এবং যথাযথ সেফটি গিয়ার পরিধান করে রাইড করারও অনুরোধ জানান তারা।

আরও পড়ুন...