পিবিএ স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সাফ জানিয়ে দিল, ভবিষ্যতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টে এই নিয়মে আর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হবে না। কী এই বাউন্ডারি কাউন্ট নিয়ম? দুই দল যদি একই স্কোর করে, তবে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানেও ফল না এলে যদি বিজয়ী হিসেবে একটি দলকেই বেছে নিতে হয়, সেক্ষেত্রে যে দলটি বেশি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে, তাকেই জয়ী বলে ঘোষণা করা হবে। ঠিক এই নিয়মেই বিশ্বকাপের ফাইনালে কিউয়িদের পিছনে ফেলেছিলেন বেন স্টোকসরা। তাঁদের ঝুলিতে ছিল বাইশটি চার। সেখানে নিউজিল্যান্ড ১৭টি চার হাঁকিয়েছিল।
এতবড় টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত লড়াইয়ের ফলাফল এভাবে ঠিক হওয়ায় তীব্র বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল আইসিসিকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছিল বাউন্ডারি কাউন্ট নিয়মটি। অবশেষে সেই নিয়মে ইতি টানল আইসিসি। সোমবার সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ কমিটির তরফে জানানো হয়, ম্যাচের ফল নির্ধারণে সুপার ওভারের ব্যবহার আগের মতোই থাকবে। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপ- উভয়ক্ষেত্রেই এই নিয়মই প্রযোগ্য হবে।
কমিটির তরফে আরও বলা হয়, “গ্রুপ পর্বে যদি সুপার ওভার অমীমাংসিত থেকে যায়, তাহলে ম্যাচকে টাই বলেই ঘোষণা করা হবে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের ক্ষেত্রে সুপার ওভারে সামান্য পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একটি সুপার ওভারে যদি স্কোর একই থেকে যায় তাহলে বারবার সুপার ওভার হবে। সেখানে যে দল বেশি রান করবে সে-ই হবে জয়ী।” আইসিসির সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট, এবার আর ভাগ্যের নিরিখে নয়, পারফরম্যান্সই বাইশ গজের লড়াইয়ে শেষ কথা বলবে।
পিবিএ/এমআর