বাগেরহাট বিসিকের বেহাল দশা

আহসান টিটু, ফকিরহাট: দুই দশকেও কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি বাগেরহাটের বিসিক শিল্প নগরীতে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে ব্যবসায়ীদের নিয়মিত দুর্ভোগের পাশাপাশি বাড়ছে পরিবহন খরচ। এছাড়াও রয়েছে পানি ও ড্রেনেজ সমস্যা। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, সমস্যার কথা জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

১৯৯৬ সালে শহরের ভৈরব নদের পাশে প্রায় ২০ একর জমির উপর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নগরী গড়ে তোলা হয়। এখানে ৫০টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে খাতা কলমে ৩৭ টি ছোট বড় কারখানা উৎপাদনে। যার মধ্যে আছে ইজিবাইক সেটিংস, নারকেল তেল, অটো রাইস ও ফ্লোয়ার, সরিষা এবং ডালের মিল। তবে সরেজমিনে গিয়ে এই ৩৭ টি প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ দেখা গিয়েছে।

বিসিক শিল্প নগরী স্থাপনের পর এখনো কোনো সংস্কার হয়নি। উদ্যোক্তরা বলছেন, যেসব সুযোগ সুবিধার কথা বলে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তার কিছুই তারা পাননি। সংস্কার না হওয়ায় শিল্প নগরীর রাস্তাঘাট ভেঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত যা চলাচলের অনুপযোগী।

এতে কারখানা থেকে পণ্য পরিবহণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। এছাড়াও রয়েছে সুপেয় পানি সংকট।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বারবার জানানোর পরও সমস্যা সমাধানের কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা তাদের।

বিসিক নগরীর বরকত ফ্লোয়ার মিলের ব্যবস্থাপক নারায়ন সাহা বলেন, শিল্প বান্ধব কোন পরিবেশ নেই এখানে। রাস্তায় যখন তখন পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে যায়। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় খালের মতো পানি থই থই করে। ড্রেন থেকে পানি নিষ্কাশন হয় না। ঠিক করার মতো কোন উদ্যোগও দেখি না।

এদিকে, সমস্যার কথা স্বীকার করে সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অর্ণব কুমার পোদ্দার বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিলো। সে অনুয়ায়ী বরাদ্দ আসলেও করোনাভাইরাসের কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হলে কাজ শুরু করা হবে।

অবকাঠামো সমস্যা সমধান হলে বিসিক শিল্প নগরীতে আরও শিল্পের প্রসার হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...