বাচ্চার সঙ্গে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন যেভাবে

পিবিএ ডেস্কঃ শাসন তাকেই মানায়, সোহাগ করে যে—কথাটা মানেন তো। আর সন্তান তখনই সেরা হয়, যখন মা-বাবা হল কঠোরে-কোমলে। আপনি কি সব সময় বাচ্চার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেন? উত্তরে আপনি বলবেন, সব সময় পরিস্থিতি বা পরিবেশ তো আপনার বশে থাকে না। তাছাড়া, কাজের চাপ, টেনশন তো আছেই। তাই অকারণেই হয়তো অনেক সময় বেশি শাসন করে ফেলেন বাড়ির খুদে সদস্যটিকে। পরে তার কাঁদো কাঁদো মুখ মন ভার করে দেয় আপনার। এমনটা কঠোর অভিভাবক যদি সত্যিই হতে না চান তাহলে ডাক্তারের দেওয়া একটা টিপস মানবেন? চিকিতসা বিজ্ঞান বলছে, যে মা বা বাবা ছোটো থেকেই বাচ্চাকে কোলের কাছে নিয়ে বসে গল্পের বই পড়েন বা বই পড়ানোর অভ্যেস করেন তিনি কিন্তু ভবিষ্যতে সন্তানের খুব কাছের একজন হয়ে ওঠেন।আর এতে দুরন্তপণাও অনেক কমে বাচ্চার। আপনাকে কাছে পেয়ে খুশি থাকে তার মনও।

বাচ্চা পড়তে পারুক চাই না পারুক, মা-বাবার সঙ্গে বই পড়ার ছুতোতে আসলে সে অনেকটা সময় কাছে পায় মা-বাবাকে। আর এভাবেই গড়ে ওঠে মা-বাবা-সন্তানের মধ্যে চিরকালের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন।

শুধু যে নিয়ম করে বাচ্চাকে নিয়ে পড়তে বসালে সন্তান লেখাপড়ায় ভালো হবে তাই নয়, স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে অন্য সহপাঠীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সাহায়্য করতে পারবে সহজেই।

যেকোনও মা-বাবাই যদি এই টিপস মেনে চলতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে তাঁরা সন্তানের খুব কাছের একজন হয়ে উঠতে পারবেন। শিখতে পারবেন, কীভাবে ভালো অভিভাবক হওয়া যায়।

গবেষকের একটি দল আমেরিকার ২০টি বড়ো শহরের প্রায় দু-হাজারেরও বেশি মায়ের কাছএ জানতে চেয়েছিলেন, তাঁরা কতটা ,সময় বাচ্চাকে নিয়ে বই পড়তে বসেন। বা আদৌ বসেন কিনা।

দু-বছর পরে তাঁদের কাছে বারবার জানতে চাওয়া হয়, সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে বাচ্চার ওপর তাঁরা কতটা শারীরিক এবং মানসিকভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন।

সমীক্ষা বলছে, বাচ্চার এক বছর বয়সে থেকেই তাকে নিয়ে বই পড়লে ওর তিন বছর বয়সে খুব ভালো অভিভাবক হবেন আপনি। তিন বছর বয়স থেকে এই অভ্যাস করলে ফল পাবেন বাচ্চার পাঁচ বছরে। অর্থাত, আর পাঁচজন মা বা বাবার মতো ততটাও কঠোর হবেন না আপনি।

তাই যেসব মা ছোটো থেকেই বাচ্চাকে নিয়ে একসঙ্গে পড়তে বসেন, মায়ের সাহচর্যে সেই সব সন্তান অনেক নম্র, শান্ত হয়। আর মা-বাবাও সন্তান সত্যিই সত্যিই সামলান কঠোরে-কোমলে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...