পিবিএ ডেস্কঃ আমাদের কাছে মোবাইল এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র ফোন করা নয় এখন গান শোনা, সিনেমা-টিভি দেখার পাশাপাশি গেমিংয়ের দুনিয়াতেও পা রেখেছে মোবাইল। বেশি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন বেশি র্যাম এবং স্টোরেজের। মূলত র্যাম, স্টোরেজ, ক্যামেরার কথা মাতায় রেখেই মোবাইল কিনতে যান গ্রাহকরা। তাই আজ ৬ জিবির কিছু অত্যাধুনিক ফোনের সুলুক সন্ধান দেব আমরা-
স্যামসাংঃ সামসংয়ের এ৭০ মোবাইলটিতে রয়েছে ৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এক্সপ্যান্ডবল মেমোরি ৫১২ জিবি। ফোনটিতে ৩২, ৫ এবং ৮ মেগাপিক্সেলের তিনটি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফ্রন্টে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ডুয়াল ন্যানো সিমের এই ফোনটিতে রয়েছে ফোরজি, ভোল্টির সুবিধা। এছাড়া ওয়াইফাই, ডেডিকেটেড মেমোরি কার্ড স্লট, রেডিও ইত্যাদির সুবিধাতো রয়েছেই। মোবাইলটির অপরেটিং সিস্টেম পাই ৯.০। যা এই মুহূর্তের লেটেস্ট অ্যানন্ড্রয়েড ভার্সন। এছাড়া কোয়লকম স্ন্যাপড্রাগন এসমে৬১৫০ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটিতে ব্যাটারি ব্যাকআপ ভাল। রয়েছে ৪৫০০ এমএএইচের ব্যাটারি। ফলে মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি নেট সার্ফিং এবং গেম খেলতে কোনও সমস্যাই হবে না। অতিরিক্ত সুবিধার মধ্যে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং, অনস্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলকের সুবিধা। বাজারে কালো, নীল এবং সাদা রংয়ে মিলছে এই ফোন। সামসংয়ের এ৭০ কিনতে গ্রাহকদের খরচ করতে হবে প্রায় ২৯ হাজার টাকা।
এমআইঃ বর্তমানে কমদামে অত্যাধুনিক ফিচার দিয়ে মোবাইলের অধিকাংশ বাজারই দখল করেছে এমআই। এই সংস্থার এটু মোবাইলটিও বেশ চোখে পড়ার মত। এটিতে রয়েছে ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এক্সপ্যান্ডবল মেমোরির সুবিধা নেই। ফোনটিতে ২০ এবং ১২ মেগাপিক্সেলের দুটি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফ্রন্টে রয়েছে ২০ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। ডুয়াল ন্যানো সিমের এই ফোনটিতে রয়েছে হাইব্রিড সিম স্লট। এছাড়া ওয়াইফাই, ফোরজি ভোল্টির সুবিধা রয়েছে। মোবাইলটির অপরেটিং সিস্টেম ৮.১ ওরিও। ব্যবহার করা হয়েছে কোয়লকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ ওক্টাকোর প্রসেসর। এই ফোনটির ব্যাটারি ব্যাকআপ অত্যন্ত দুর্বল। মাত্র ৩০১০ এমএএইচ-রে ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয়েছে ফোনটিতে। অতিরিক্ত সুবিধা হিসাবে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, লাইট, হল সেন্সর এবং ই কম্পাস। বাজারে কালো, সোনালি এবং নীল রংয়ে মিলছে এই ফোন। এমআইয়ের এই ফোনটি কিনতে খরচ করতে হবে প্রায় ১৬ হাজার টাকা।
নোকিয়াঃ মোবাইলের বাজারে নোকিয়া খুবই পুরোনো নাম। এই সংস্থা এবার বাজারে নিয়ে এল ৬.১ প্লাস। এই মোবাইলটিতে রয়েছে ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এক্সপ্যান্ডবল মেমোরি ৪০০ জিবি। ফোনটিতে ১৬ এবং ৫ মেগাপিক্সেলের দুটি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফ্রন্টে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। ডুয়াল ন্যানো সিমের এই ফোনটিতেও রয়েছে ফোরজি, ভোল্টির সুবিধা। তবে এটিতে রয়েছে হাইব্রিড সিম স্লট। মোমোরি কার্ডের জন্য আলাদা করে কোনও স্লট নেই। মোবাইলটির অপরেটিং সিস্টেম ৮.১.০ ওরিও। ব্যবহার করা হয়েছে কোয়লকম স্ন্যাপড্রাগন ওক্টাকোর ৬৩৬ প্রসেসর। ফোনটির ব্যাটারি বেশ দুর্বল। এটিতে রয়েছে ৩০৬০ এমএএইচ-এর ব্যাটারি। ফোনে অতিরিক্ত সুবিধা হিসাবে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং লাইট সেন্সর। বাজারে কালো, নীল এবং সাদা রংয়ে মিলছে এই ফোন। নোকিয়ার এই মোবাইলটি কিনতে গ্রাহকদের খরচ করতে হবে ১৮ হাজার টাকা।
মোটোরোলাঃ মোটোরোলা এক্স৪ মোবাইলটিতে রয়েছে ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এক্সপ্যান্ডবল মেমোরি ২ টিবি। ফোনটিতে ১২ এবং ৮ মেগাপিক্সেলের দুটি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফ্রন্টে রয়েছে ২০ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। ডুয়াল ন্যানো সিমের এই ফোনটিতে রয়েছে ফোরজির সুবিধা। এই ফোনে আলাদা করে মেমোরি কার্ডের স্লট নেই। মোবাইলটির অপরেটিং সিস্টেম ওরিও ৮.০। ব্যবহার করা হয়েছে কোয়লকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৩০ প্রসেসর। এই ফোনটির ব্যাটারিও বেশ দুর্বল। রয়েছে মাত্র ৩০০০ এমএএইচ-এর ব্যাটারি। ফোনে অতিরিক্ত সুবিধা হিসাবে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং লাইট সেন্সর। এছাড়া রয়েছে টার্বো চার্জিংয়ের সুবিধা। বাজারে কালো এবং নীল রংয়ে মিলছে এই ফোন। অনলাইনে মোটোরোলার এই মোবাইলটি কিনতে গ্রাহকদের খরচ করতে হবে প্রায় ১১ হাজার টাকা।
ভিভোঃ মোবাইলের বাজার দখলে নতুন নাম হিসাবে উঠে এসেছে ভিভোর নাম। সংস্থা ভি ১৫ মোবাইলটিতে রয়েছে ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এক্সপ্যান্ডবল মেমোরি ২৫৬ জিবি। ফোনটিতে ১২, ৮ এবং ৫ মেগাপিক্সেলের তিনটি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফ্রন্টে রয়েছে অত্যাধুনিক ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। ডুয়াল ন্যানো সিমের এই ফোনটিতেও রয়েছে ফোরজি, ভোল্টির সুবিধা। রয়েছে ডেডিকেটেড মেমোরি কার্ড স্লট। মোবাইলটিতে রয়েছে লেটেস্ট অ্যানন্ড্রয়েড ভার্সন পাই ৯.০। এছাড়া অক্টাকোর কর্টেক্স এ৫৩ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফোনটির ব্যাটারি ব্যাকআপ ভাল। রয়েছে ৪০০০ এমএএইচের ব্যাটারি। অতিরিক্ত সুবিধা হিসাবে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং লাইট সেন্সর। বাজারে লাল এবং নীল রংয়ে মিলছে এই ফোন। মোবাইলটি কিনতে গ্রাহকদের খরচ করতে হবে প্রায় ২৪ হাজার টাকা।
প্যানাসনিকঃ সংস্থার এলুগা এক্স ওয়ান প্রো রয়েছে ৬ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এক্সপ্যান্ডবল মেমোরি ২৫৬ জিবি। ফোনটিতে ১৬ এবং ৫ মেগাপিক্সেলের দুটি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফ্রন্টে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। মাইক্রো এবং ন্যানো সিমের ডুয়াল এই ফোনটিতেও রয়েছে ফোরজি, ভোল্টির সুবিধা। এই ফোনে আলাদা করে মেমোরি কার্ডের স্লট নেই। মোবাইলটির অপরেটিং সিস্টেম ওরিও ৮.১। ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও পি৬০ প্রসেসর। ফোনটিতে রয়েছে মাত্র ৩০০০ এমএএইচ-এর ব্যাটারি। অতিরিক্ত সুবিধা হিসাবে রয়েছে ওয়্যারলেস চার্জিং, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং লাইট সেন্সর। বাজারে সিলভার এবং ডার্ক গ্রে রংয়ে মিলছে এই ফোন। মোবাইলটি কিনতে গ্রাহকদের খরচ করতে হবে প্রায় ১৩ হাজার টাকা।
পিবিএ/এমআর