বাজেট নিয়ে ফখরুলের প্রতিক্রিয়া: প্রকল্প ব্যয় বহুগুণ বাড়িয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে

পিবিএ,ঢাকা : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবারের বাজেটে সরকারের ব্যয় করার উচ্চাভিলাষ থাকলেও আয় করার সামর্থ্য কমে গেছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, তারা বাজেট প্রণয়ন ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার তারাই সরকার পরিচালনা করছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখন ঋণনির্ভর বাজেট দিতে হচ্ছে। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রকল্প ব্যয় বহুগুণ বাড়িয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। করের মাধ্যমে, ভ্যাটের মাধ্যমে বা অন্যান্য মাধ্যমে এই টাকা সরকার সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নেবে। অনির্বাচিত সরকার একটি অনির্বাচিত সংসদে এই বাজেট দিয়েছে। গণতন্ত্র না থাকায় সুশাসন নেই দেশে। সুশাসনের অভাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত। ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ বন্ধ, শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, ব্যাংকে তারল্য সংকট চলছে। সরকার দেশকে ঋণনির্ভর অর্থনীতির বৃত্তে আবদ্ধ করে রেখেছে। এই ঋণ শোধ দিতে দেশের মানুষের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে। নাগরিকদের ভুগতে হবে চরমভাবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি বেকার বাংলাদেশে। প্রবৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে, তার সত্যতা নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন আছে। দেশের অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা একটি শ্রেণীর কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকারের নৈতিক অধিকার নেই বাজেট দেয়ার। সরকার জনগণকে বাইরে রেখে যেভাবে নির্বাচন করেছে, একইভাবে বাজেটও দিচ্ছে। যেভাবে জনগণ এই নির্বাচন গ্রহণ করেনি, তেমনি বাজেটও তারাগ্রহণ করবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র অনির্বাচিত সরকারের বাজেট দেয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধও নয়।

ফখরুল বলেন, বাজেটের স্লোগান, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের। আসলে এটা তাদের, একমাত্র তাদের (আওয়ামী লীগের)। এটা বুঝতে জনগণের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমানুষের কোনও আগ্রহ নেই। বছর শেষে এই বাজেট কাটছাঁট করা হয়। এবারের বাজেট উচ্চাভিলাষী। বাজেটে আরও ঘাটতি বাড়বে।

শুক্রবার বাজেট পরবর্তি প্রতিক্রিয়া জানাতে বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...