পিবিএ বান্দরবান: বান্দরবানে গৃহকর্মীকে গৃহকর্ত্রীর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মীর নামঃ নাহিদা আক্তার (১১) পিতাঃ ফারুক আহমেদ সে বান্দরবান জেলাধীন থানচি উপজেলার বলিবাজার উপির ১নং পোষ্ট এলাকার বাসিন্দা।
গৃহকর্ত্রীর নামঃ ঊর্মি স্বামীঃ মোঃ সোলেইমান সে বান্দরবান জেলা সদরাধীন নিউগুলশান এলাকার বাসিন্দা।
বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ (occ ) কার্য্যালয়ের লক্ষী দাশ জানান শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) নাহিদা আক্তারকে কিছু লোক চোর চোর বলে দৌড়াচ্ছিল। দৌড়ানি খেয়ে সে ভয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তার উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনা এবং নির্যাতনের ক্ষত চিহ্ন। পরে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বান্দরবান সদর হাসপাতালের ৭ নং বেডে ভর্তি করানো হয়।
নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী নাহিদা আক্তার জানান কথায় কথায় গৃহকর্ত্রী ঊর্মি আমাকে ঝাড়ু দিয়ে প্রতিনিয়ত মারত এবং কয়েকদিন আগেও আমার গলা চেপে ধরেছিল।তাই মার সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে যাচ্ছিলাম।
নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মীর পিতাঃ ফারুক আহমেদ হাসপাতালের বেডে মেয়ের পাশে বসে কান্না জড়িত কন্ঠে জানান অভাবের সংসারে মেয়ে নিয়ে কোন ভাবে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম আমরা। ৫মাস পূর্বে কক্সবাজার চকরিয়া এলাকার এক পরিচিত মোঃ বশর মারফৎ বান্দরবানের নিউ গুলশানের সোলাইমানের বাসায় কাজ করার জন্য দিয়ে ছিলাম। কথা ছিল মেয়েকে ভালো মন্দ খাওয়াবে পড়াবে এবং বিয়ের উপযুক্ত হলে বিয়ে দিবে।
ভেবেছিলাম কাজের বিনিময়ে মেয়েটা অন্তত দুবেলা পেটভরে খেতে পারবে কিন্তু তারা এভাবে মেয়েটিকে শারীরিক অত্যাচার করবে ভাবতে পরিনি। আমার মেয়েকে এমন অমানবিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে আমি বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় গৃহকর্ত্রী ঊর্মি বিরুদ্ধে অভিযোগ দ্বায়ের করব।
বান্দরবান সদর থানা পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি)শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী ঊর্মি কে থানায় ডাকা হয়েছে। তাদের সাথে আলাপচারিতা চলছে।সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
পিবিএ/নয়ন চক্রবর্তী/এমআর