বান্দরবানে পৌর কাউন্সিলরকে অপহরণ

পিবিএ ডেস্ক: গতকাল বুধবার রাত পৌনে নয়টার দিকে উপজেলায় কুহালং ইউনিয়নের উজিমুখ হেডম্যানপাড়ার খামারবাড়ি থেকে বান্দরবান সদর উপজেলায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চথুইমং মারমাকে অপহরণ করেছে একদল সন্ত্রাসী। জানা গেছে, চথুইমং মারমা বান্দরবান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। উজিমুখ হেডম্যানপাড়ায় একটি খামারবাড়ি রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ জেলা শহরে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। তারা অবিলম্বে অপহৃত চথুইমং মারমার মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

বান্দরবানে পৌর কাউন্সিলরকে অপহরণ
চথুইমং মারমা

অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানান, জেলা শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দুরে উজিমুখ হেডম্যানপাড়ায় চথুইমং মারমার খামারবাড়িতে আট-নয়জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল হানা দেয়। সন্ত্রাসীরা চথুইমং মারমাকে খামারবাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় তাঁর স্ত্রীও খামারে ছিলেন। স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিলে তাঁকেও সন্ত্রাসীরা কিলঘুষি ও লাঠি মারে।

চথুইমং মারমার স্ত্রী বলেছেন, সন্ত্রাসীরা খামারবাড়িতে এসে তাঁর স্বামীকে ডাকাডাকি করে। তাঁকে পেয়ে ধরে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা চাকমা, মারমা ও বাংলা ভাষায় কথা বলছিল। তবে তিনি তাদের কাউকে চিনতে পারেননি। কুহালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (উজিমুখ হেডম্যানপাড়া এলাকার) সদস্য অংচাহ্লা মারমা জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা মগ পার্টি, নাকি জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র ক্যাডার, তা শনাক্ত করা যায়নি। তাঁরা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।

চথুইমং মারমা অপহরণের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা, সহসভাপতি ও বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ইসলাম বেবী প্রমুখ। তাঁরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চথুইমং মারমার অপহরণের জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেন এবং বৃহস্পতিবার (২৩মে) বেলা ১১টার মধ্যে তাঁকে উদ্ধারের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেছেন, চথুইমং অপহরণের ব্যাপারে জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা যেদিকে চথুইমংকে নিয়ে গেছে, সেদিকে অভিযানের দল অগ্রসর হচ্ছে। তবে অপহরণকারী কারা হতে পারে, তা শনাক্ত করা যায়নি।

পিবিএ/আরআই

আরও পড়ুন...