বাফুফের ২৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

পিবিএ, ঢাকা: নিজের পাওনা না পেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) উকিল নোটিশ পাঠানোর পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এবার মামলার পথে হাটলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার মো. আবদুস সাদেক। সপ্তাহখানেক আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ সংস্থাটির নির্বাহী কমিটির ২৪ সদস্যের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান গাজীপুর শহরের এই সাদেক।

bff-bhaban-bafufe-bhaban-news
বাফুফে ভবন

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকার দাবিতে বাফুফে বরাবর উকিল নোটিশ পাঠান আবদুস সাদেক। তবে ফেডারেশন থেকে কোনো সদুত্তর না আসায়, এবার কাজী সালাউদ্দিনসহ বাফুফের নির্বাহী কমিটির ২৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন আব্দুস সাদেক। একই সঙ্গে ফিফার কোড অব কন্ডাক্ট উল্লেখ করে কাজী সালাউদ্দিনকে সরিয়ে দিতে বাফুফেকে আরও দুটি উকিল নোটিশ পাঠান তিনি। বিষয়গুলো আইনিভাবেই সমাধানের কথা বলছে ফেডারেশন।

২০০৬ সাল থেকে জাতীয় দলের ফুটবলারদের দেখভাল করতেন ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুস সাদেক। কিন্তু ফেডারেশনের লেনদেনের অসচ্ছতায় ২০১৮ সালে এ পদের দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। আব্দুস সাদেকের ভাষ্যমতে এ সময় বাফুফের কাছে তার পাওনা গিয়ে ঠেকে ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা।
ফেডারেশেন কাছে বারবার ধরনা দিয়েও টাকা তো দূরে থাক মেলেনি কোনো আশ্বাসও। তাই ৩ ফেব্রুয়ারি টাকা পরিশোধে ১ সপ্তাহ সময় বেধে দিয়ে বাফুফেকে আইনি নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী।

সেই আইনি নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কাজী সালাউদ্দিন-সহ বাফুফের ২৪ কর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেন আব্দুস সাদেক।

এদিকে, এ বিষয়ে আব্দুস সাদেকের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি চেয়ে পাল্টা এক উকিল নোটিশ প্রেরণ করেছে বাফুফে। একই সঙ্গে মামলার কপি হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি আইনিভাবেই তারা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি অবশ্য ২০০৫ সালের। তখন অবশ্য কাজী মো. সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি ছিলেন না। এ বিষয়ে আবদুস সাদেক বলেন, ‘কাজী সালাউদ্দিন তখন ছিলেন টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। তিনিই তখন আমাকে বলেছিলেন খেলোয়াড়দের খাবারে যেন কোনো সমস্যা না হয়। আমি তার কথার ভিত্তিতেই খরচ করে গেছি।’

মামলার বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘মামলা হয়েছে কিনা জানি না। আমরা কোনো কাগজপত্রও পাইনি।
পিবিএ/এএম

আরও পড়ুন...