বাবারে আমরা ফণী দেখতে আইছিলাম !

 

পিবিএ, সরাইল,ব্রাহ্মনবাড়ীয়া: শনিবার সকাল পৌনে ১০ টারদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে সরাইল সদর এলাকায় খোলা জায়গায় কয়েকজন বিভিন্ন বয়সীর নারীর জটলা দেখা গেল। তারা দক্ষিণ আকাশের দিকে কি যেন খুঁজতেছেন, একজন আরেকজনকে আঙ্গুল উঁচু করে ইশারাও করছেন। একজন নারী মোবাইল ফোনের ক্যামেরা আকাশের দিকে তাক করে রাখেন। তখন এখানে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।

এ দৃশ্যটি দেখে কৌতুহল বশত কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হলে ষাটোর্ধ্ব নারী ফয়জন নেছা বলেন- “বাবারে আমরা এখানে ‘ফণী’ দেখতে আইছিলাম। দুইদিন যাবত শুনছি ‘ফণী’ বাংলাদেশের দেওয়া নাম। আজ সকালে ভাতিজার মোবাইলে দেখলাম ‘ফণী’ দেখতে এক লোক বৌ-বাচ্চা নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র এলাকায় গেছে। ‘ফণী’ ইন্ডিয়া হয়ে আজ সকাল নয়টা’র পর বাংলাদেশে আইব, তাই আমরা দক্ষিণ দিকের আকাশে চোখ রাখছি”।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ঘিরে সাধারণ মানুষের মাঝে এখানে নানা কৌতুহল লক্ষ্য করা গেছে। দুই দিন আগে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এখানকার অনেকেরই মাঝে আতঙ্কের ছাপ দেখা গেলেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন মিডিয়ায় ‘ফণী’র শক্তি দূর্বল হয়ে যাওয়ার খবরে জনমনে স্বস্তি ফিরে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে এখনো অনেকেরই মধ্যে এক অজানা ভয় রয়েছে।

শনিবার (৪ মে) দুপুর ১২.৪৫মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সরাইল উপজেলায় সর্বত্র থেমে থেমে হালকা ও ভারী দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সরাইল উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র মোকাবেলায় এখানে প্রশাসন সব ধরণের প্রস্ততি নিয়ে রেখেছে।

পিবিএ/এএস/হক

আরও পড়ুন...