‘বাবা মায়ের ঋণ’ শোধের প্রথা ভাঙলেন প্রিয়া মান্না

Priya-manna

পিবিএ ডেস্ক : হিন্দুমতে বিয়ের নানা রীতি নিয়ে প্রশ্ন অনেকের মনেই থাকে। সে সিঁদুর দান, ভাতকাপড় হোক বা কনকাঞ্জলি। প্রশ্ন নিয়েই কোটি কোটি যুবক যুবতী বিয়ে করেন। কেউ পালটা প্রশ্ন তোলেন না এসব অদ্ভুত নিয়ম নিয়ে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের এক সদ্য বিবাহিতাই প্রশ্ন তুলেছেন বিয়ের কনকাঞ্জলি প্রথাটি নিয়ে। বাঙালি মতে বিয়ের পরের দিন শ্বশুরবাড়িতে ‘বিদায়’ দেওয়া হয় মেয়েকে। বেরনোর সময় কনেকে বাবা মায়ের ঘর ছাড়তে ছাড়তে অভিভাবকদের সব ঋণ শোধের কথা বলতে বাধ্য করা হয়। মুশকিল হল, প্রায় সকলেই অবলীলায় সেসব বলে পাড়ি দেন শ্বশুরবাড়ি। কনকাঞ্জলি’র এই রীতিটিই অগ্রাহ্য করেছেন এই নববধূ। মায়ের দিকে পিছন ঘুরে একমুঠো চাল ছুঁড়ে দিয়ে বাবা মায়ের সব ঋণ শোধের রীতি মানতে অস্বীকার করেছেন হুগলির বেগমপুরের বাসিন্দা প্রিয়া মান্না।

গত ২৭ জানুয়ারি বিয়ে ছিল প্রিয়ার, পরের দিন তার ‘বিদায়ে’র সময় তাকে একমুঠো চাল ছুঁড়ে দিয়ে বলতে বলা হয় ‘বাবা মায়ের সব ঋণ শোধ করলাম’। চাল ছুঁড়লেও মুখে কিছুই বলেননি প্রিয়া। পাশ থেকে একজন জোর করে বলাতে গেলে রেগেই যান তিনি। তার সাফ কথা, বাবা মা সারাজীবন একজন সন্তানের জন্য যা করেন তা কোনওভাবেই মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ওই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে কনকাঞ্জলির রীতিটি মানতে অগ্রাহ্য করেন তিনি। কোনও কান্নাকাটি, বা ছেড়ে যাওয়ার যন্ত্রণা নয়, বরং হাসিমুখে আর পাঁচটা দিন কাজে বেরোনর মতো করেই রাজারহাটের বিষ্ণুপুরে শ্বশুরবাড়ি রওনা হয়েছেন প্রিয়া। বের হওয়ার সময় তিনি বলেছেন, ‘আমি তোমাদেরই ছিলাম, আছি।’

প্রিয়ার এক বোন এই ভিডিওটি মোবাইলে ধারণ করেছিল। পরে প্রিয়া তা আপলোড করেন ফেসবুকে। ২ মিনিটের এই ভিডিওতে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিজের মন্তব্য জানিয়েছেন এবং ৭৫ হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন।

পিবিএ/জিজি

আরও পড়ুন...