বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই তরুণের একজনর দাদার বাড়ি ছিল ওই বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায়। গত বছর পার্বত্য ওই বনাঞ্চলে ২২ বছর বয়সী এ দুই তরুণ বারবিকিউ করার সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করেই তাদের জরিমানা করা হয়েছে। যদিও ওই দুই তরুণ অগ্নিকাণ্ডের জন্য তাঁদের ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ওই দুই শিক্ষার্থীর একজন বলেন, ‘ওই ঘটনার জন্য আমরা মর্মাহত ’। কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়ার পেছনে আরও অনেক কারণ কাজ করেছে। ওই ব্যাখ্যাতীত অগ্নিকাণ্ডের জন্য আমাদের বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। সত্যিকার অর্থে এ অঘটনের ভুক্তভোগী আমরাই। যদিও (আগুন ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই) আমরা দমকলকে খবর দিয়েছিলাম এবং নিজেরাও আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলাম।’
তবে তদন্তকারীরা বলছেন, আগুনের উৎস হিসেবে বারবিকিউয়ের জায়গাটিই কাজ করেছে। আর আবহাওয়া ছিল খুবই শুষ্ক। এ কারণে ওই অগ্নিকাণ্ডের জন্য বনাঞ্চল সংলগ্ন বাড়ির মালিক ও এ দুই তরুণই দায়ী।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর হওয়া ওই আগুনে মন্টে বার্লিংঘেরা বনাঞ্চলের এক হাজার হেক্টর অঞ্চল পুড়ে যায়। এর মধ্যে অন্তত ১০০ হেক্টর এলাকা এমনভাবে পুড়েছে, যা আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয় বলছে স্থানীয় বন পুলিশ। এই ক্ষতিকে হিসাবে নিয়ে স্থানীয় আইন অনুযায়ীই বন পুলিশ কর্মকর্তারা জরিমানার অঙ্কটি নির্ধারণ করেছেন। এ বিষয়ে দুই শিক্ষার্থীর একজনের আইনজীবী বলেন, তাদের দুজনেই এখনো শিক্ষার্থী। সে ক্ষেত্রে এমন জরিমানার অর্থ কী? তবে তদন্তকারীরা বলছেন, পরিবেশের সুরক্ষায় সাধারণ মানুষকে আরও দায়িত্বশীল করতেই এমন জরিমানা করা হয়েছে।
পিবিএ/হাতা