
রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুর সদরের মেষ্টাতে বাল্যবন্ধুকে হত্যার ঘটনায় আদালত হত্যাকারী বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে খালাসের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু বকর ছিদ্দিক এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. হাফিজুর রহমান সরিষাবাড়ি উপজেলার ঢুরিয়াভিটা গ্রামের মৃত রুহুল আমীনের সন্তান।
মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী থানার গোবিন্দ নগর (বয়রা) গ্রামের মো. মতিয়ার রহমানের সন্তান মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে আজাদ, পাখাডুবি গ্রামের আব্দুল কাদেরের সন্তান গোলাম রব্বানী ওরফে রব্বানী, জসিম উদ্দিনের সন্তান ওমর আলী ও জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া দেওয়ানীপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের সন্তান মো. শওকত আলী।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত পিপি আইনজীবী একেএম নাজমুল হুদা জানান, প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ও নিহত মোজাম্মেল হক বাল্যবন্ধু। ১৯৯৩ সালের ২৩ মে বিকালে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে মোজাম্মেল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান হাফিজুর রহমান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরেন নি। পরদিন ২৪ মে মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল পারিল গৌরিপুর গ্রামে কাঁচা রাস্তার উপর মোজাম্মেল হকের রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাওয়া মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর দাফন করা হয়।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২৮ মে নিহত মোজাম্মেল হকের বড় ভাই শাহজাহান ছবি দেখে তার ভাইকে শনাক্ত করার পর জামালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্তের পর ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩২ বছর পর এই রায় দেন আদালত। আর এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. ফজলুল হক।