পিবিএ,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুরে চালিয়ে দুইটি বাল্যবিয়ের আসর ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় বর, কাজী, ঈমামসহ ১২জনকে আটক করা হয়েছে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দুল কাদের ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৮ জনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড ও ৪ জনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উলিপুর পৌর কাজী অফিস ও উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামে। আটককৃতদের শনিবার কুড়িগ্রাম জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পূর্বশিববাড়ি খালিভিটা গ্রামের আবু বক্করের পুত্র আলমগীর হোসেন(২৯)এর সাথে পুর্ব শিববাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের কন্যা তামান্না বেগম(১৩)এর বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। সে মোতাবেক গত শুক্রবার রাতে পৌর কাজী অফিসে বিয়ে দেয়ার জন্য উভয় পরিবারের লোকজন জড়ো হয়। খবর পেয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বর-কনে, নিকাহ রেজিষ্টার ও ঈমামসহ উভয় পক্ষের ৯ জনকে আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দুল কাদের ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৮ জনের প্রত্যককে ৬ মাসের জেল ও ১ জনের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, বর আলমগীর হোসেন(২৯),কাজী নুরুল হুদা লিমন(৫২),ভূয়া কাজী শফিকুল ইসলাম(৩৮),ঈমাম মাহমুদুল হাসান(২৪), কনের দুলাভাই ফারুক মিয়া(২৫), আমিনুল ইসলাম (২৪), কনের চাচা আলাল মিয়া(২৫), বরের মামা নজরুল ইসলাম (৩৮) কে ৬ মাস করে কারাদন্ড ও বরের দুলাভাই আলমগীর হোসেন (৩৬) কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তামান্না বেগম উলিপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
অপরদিকে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামে বাল্যবিয়ের আসরে অভিযান চালিয়ে বরের দুলাভাই নজরুল ইসলাম(২৭) ও রফিকুল ইসলাম(৪০) এবং কনের দুলাভাই জামাদুর রহমান (৪০) কে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পিবিএ/ এমআই/হক