বাংলাদেশে বিরোধী দল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও ধরপাকড়ের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থাটির পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল গতকাল রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক টুইটে এই নিন্দা জানান। পরে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসও বোরেলের টুইটের সঙ্গে একমত পোষণ করে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে দেশজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশির ভাগ নেতা বর্তমানে কারাগারে। অসংখ্য নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়িছাড়া। এ অবস্থায় চলমান ধরপাকড় ও গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সংস্থাটির (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল রোববার (৫ নভেম্বর( সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এই নিন্দা জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপায় বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
টুইটে বোরেল লেখেন, ‘বাংলাদেশে ৮ হাজারের বেশি বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানাচ্ছি। প্রতিটি মামলায় অবশ্যই ন্যায়বিচার হতে হবে। আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ উপায় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সহায়ক হবে।’
পরে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে বোরেলের টুইট শেয়ার করে লেখা হয়, ‘আমরাও এর সঙ্গে একমত।’
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশের অভিযান ও গ্রেপ্তারের হাত থেকে বাঁচতে বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মী এখন বাড়িছাড়া। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত দলটির ৭ হাজার ৮৩৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরুসহ প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতা এখন কারাগারে আছেন।