পিবিএ.লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আসাদুল ইসলামের লাশ তিনদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের জমগ্রাম ও ভারতের কুচিবাড়ি সীমান্ত সংলগ্ন সড়কে মরদেহটি ফেরত দেয়া হয়। নিহত আসাদুল পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের মতিয়ার রহমান কাদমার ছেলে।
এর আগে গত শনিবার ভোরে সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আসাদুল ইসলাম।
ভারতের কুচবিহার জেলার মেকলিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুবাস চন্দ্র রায় পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমানের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করেন। এ সময় কোচবিহারের রানীনগর ১৪৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ কুচলিবাড়ি বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার দীপক জয় সোয়াল ও রংপুর-৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঠ্যাংঝারা কোম্পানি সদরের কমান্ডার নায়েক শাহ মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু সাজ্জাদ হোসেন জানান, আসাদুল ইসলামের লাশ তার পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার আশাদুল ইসলমাসহ একদল বাংলাদেশি ওই এলাকার মেছেরঘাট সীমান্তের সানিয়াজান নদী পাড়ি দিয়ে ভারতে যান গরু আনতে। শনিবার ভোরে তারা ওই সীমান্তে ৮০২ নম্বর মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় ভারতের কুচবিহার ১৪৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ কুচলিবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করে ও গুলি ছোড়ে। এতে ওই দলের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশ ফিরলেও বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলে আশাদুল নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আসাদুল ইসলামের মরদেহ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ।
পিবিএ/এসপি/জেডআই