পিবিএ,ঢাকা:বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০০ মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপক অনিয়ম, জালিয়াতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে প্রকাশিত ফলাফল বাতিল করা সহ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার পদত্যাগের দাবিতে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন আজ সোমবার (১৩ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ভিসির কার্যালয় ঘেরাও, ফল বাতিল ও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ভিসি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের স্বজনদের নিয়োগ দেয়ার জন্য পরীক্ষার ফলে টেম্পারিং করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিভিন্ন কোর্সের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তারা। এখানেই তাদের চাকরি হবে বলে আশা করছিলেন। লিখিত পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। কিন্তু অনিয়মের কারণে এখন বাদ পড়ছেন বলে মনে করছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
এদিকে উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাস ও ভিসির কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা ও বিএসএমএমইউ’র অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে ভিসি কার্যালয়ে নেই বলে জানা গেছে।
গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ২০০ ডাক্তার নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল গতকাল (রোববার) প্রকাশিত হয়। ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন ডেন্টাল চিকিৎসক পদে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।
লিখিত পরীক্ষায় ১ পদের জন্য ৪ জনকে পাস করানো হয়। এ হিসাবে ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। চূড়ান্ত নিয়োগের লক্ষ্যে তাদের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে।
ফলাফল ঘোষণার পরপরই সুযোগ বঞ্চিত চিকিৎসকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে ‘ছেলের জন্য সাজানো নিয়োগ, লজ্জা, ভিসি লজ্জা, ভিসির পদত্যাগ চাই!, অর্থের বিনিময়ে এই নিয়োগ মানি না, মানবো না, প্রশ্নফাঁসের এ নিয়োগ কাদের জন্য, আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে ইত্যাদি স্লোগান লেখা পোস্টার সেটে দেন।
পিবিএ/এএইচ