বিদেশি লেটুসপাতা এখন চুয়াডাঙ্গায়

পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: প্রাচীন মিসরীয়রা আগাছা থেকে সর্ব প্রথম লেটুসের আবিষ্কার করে। তারপর গ্রিক এবং রোমানদের কাছে তেলসমৃদ্ধ বীজের কারণে এই উদ্ভিজ্জ লেটুসপাতা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আস্তে আস্তে ইউরোপ এবং আমেরিকা লেটুসের বাজার আধিপত্য বিস্তার করে এবং বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে লেটুসের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতি লাভ করে। সেই বিদেশি লেটুসপাতার এখন চুয়াডঙ্গায় বাণিজ্যিক ভাবে চাষ শুরু হয়েছে । লেটুসপাতার চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে আগ্রাহ দেখাচ্ছেন।

বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১০ বিঘা জমিতে লেটুসপাতার আবাদ হয়েছে। চুয়াডাঙ্গাসহ অন্য জেলায় ফাস্টফুডের খাবারের দোকানে লেটুসপাতার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। চুয়াডাঙ্গা সদরের আকন্দবাড়িয়া ও বেগমপুর গ্রামে লেটুস পাতা চাষ হয়েছে। কয়েকজন কৃষক এই লেটুসপাতার চাষ করছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঠে আব্দুল মোকারম ৪ বিঘা জমিতে লেটুসপাতা চাষ করছেন। লেটুসপাতার বিজ বপনের দুই মাসের মধ্যে গাছে পাতা পূর্ণতা পায়। যা বিক্রি ও খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়। গাছের পাতার রং গাঢ় সবুজ। ফাস্টফুডের দোকানে বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যবহার করা হয় এ পাতা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের কৃষক আফজাল আলী জানান, লেটুসপাতার চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। এ চাষ সহজ ও ফলন ভাল হওয়ায় অল্প দিনে বাজারে বিক্রি করা যায়। লেটুসপাতার প্রতিটি গাছ অধিকাংশ সময় ১০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এক বিঘা জমিতে প্রায় ১০ হাজার গাছ হয়। যা এক লাখ টাকায় বিক্রি হতে পারে । খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব বলে জানান এ কৃষক ।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাশরুর বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে কৃষকদের । যাতে বিদেশি লেটুসপাতা চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারে । লেটুসপাতা চুয়াডাঙ্গা জেলা এবছর প্রথম চাষ হয়েছে বলে জানান তিনি ।

পিবিএ/টিটি/এমএসএম

আরও পড়ুন...