বিদেশ পাঠানোর নামে মুক্তিপণ আদায় চক্রকে নির্মূল করতে হবে


লিবিয়ায় নির্মমতার শিকার হলো ২৬ বাংলাদেশী যুবক। তারা ছুটেছিলো উন্নত স্বপ্নে সন্ধানে। তারা চেয়েছিলো পরিবারের উন্নতি। বাংলাদেশকে আরো বেশী বৈদেশিক অর্থ সমৃদ্ধ করতে।

কিন্তু লোভের নির্মমতায় অকালে প্রাণ হাড়াতে হলো। আর্ন্তজাতিক মানব পাচার দালাল চক্র এতটাই নৃশংস। এমনই বর্বর। মধ্যযুগে দাস কেনাবেচা চলেছে। এখন চলছে অশুভ উন্নত স্বপ্ন কেনাবেচা। দালাল চক্র স্বপ্নবিলাসী যুবকের উন্নত জীবনের আকাংখাকে পুঁজি করে তাদের ফাদে ফেলে।

জাগো নিউজ গত ১৯ জানুয়ারী এক প্রতিবেদনে জানায়, ভৈরবের আদম দালাল মিলন ও সোহাগ এসব অসহায় যুবকদের লিবিয়া দিয়ে অবৈধভাবে ইতালি পাঠাবে বলে লোভ দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শতাধিক যুবকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছে।

এসব দালাল চক্রকে সমূলে নির্মূল করতে হবে। নচেত সম্ভাবনাময় জীবনগুলো এভাবেই নিঃশে^স হতে থাকবে।
একইভাবে সাধারণ মানুষ এবং যুবকদেরও সর্তক হতে হবে। এভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে বিদেশ পারি জমানো কোনভাবেই ঠিক না। অভিবাকদের উচিত নয় নিজ সন্তানদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়া।

আমরা এই নির্মমতার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। সেইসাথে বাংলাদেশের যারা এর সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

পিবিএ/শতাব্দী আলম

আরও পড়ুন...