স্টাফ রিপোর্টার,খাগড়াছড়ি: পাহাড়ে বসবাসরত সকল সমপ্রদায়ের প্রতি শান্তি ও সম্প্রীতির আহবান জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ-সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, হানা-হানি ও বিভেদ সৃষ্টি করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার আস্তা, বিশ্বাস, ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও ভ্রাত্রিত্ববন্দন। তাই সকল বিভেদ ভুলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকালে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত থানা বাজার মাঠে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কারও উচকানিতে কান না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাহাড়ে সংঘাত করে এ পর্যন্ত পাহাড়ি বা বাঙ্গালী কেউই লাভবান হয়নি। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে বন্ধুত্ব করতে হবে, আপোষ করতে হবে, সমঝোতা করতে হবে, একে অপরের উপর বিশ্বাস সর্বপুরি একে অপরের প্রতি ভালোবাস অর্জন করতে হবে। তাহলেই কেবল সস্প্রীতির মধ্যদিয়ে সহবস্থানে বসবাস করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আমরা সবাই জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি উল্লেখ করে ওয়াদুদ ভুইয়া বলেন,পাহাড়ী বাঙ্গালীসহ নানা সস্প্রদায়ের বাসবাস পাহাড়ে। মারামারি করে আমাদের কাউকে এখান থেকে চলে যাওয়ার সুযোগ নাই। এটাই আমাদের বাংলাদেশ। এখানে সবাই বাংলাদেশের সানুষ। সবাই বাংলাদেশী।
মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও আস্তা অর্জনের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, জনগণই বিএনপির শক্তি। তাই পাহাড়ি বাঙ্গালী প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। সানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তবেই বিএনপির বিজয় হবে বলে জানান তিনি।
চাঁদাবাজি না করে বৈধ পথে ব্যবসা করার আহ্বান জানিয়ে ওয়াদুদ ভুইয়া বলেন, কেউ যদি চাঁদাবাজি ও মানুষের উপর জুলুম করে, তাকে দল থেকে বহিষ্কারের হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি।
দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি সভাপতি সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে খাগাড়ছড়ি জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, প্রধান উপদেষ্ঠা জাকিয়া জিনাত বীথি,সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু, মো. মোশাররফ হোসেন ,জেলা মহিলা দলের সভাপতি কুহেলী দেওয়ান, সাধারণ স্পাদক শাহেনা বেগম প্রমুখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন।