পিবিএ,ঢাকা: অবশেষে বিমান ছিনতাইচেষ্টাকারী যুবকের পরিচয় শনাক্ত হওয়া গেছে। ওই যুবকের নাম মো. পলাশ আহমেদ। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে। সে বিমানের ঢাকা-চট্টগ্রাম অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তবে এত নিরাপত্তার ফাঁক গলে কীভাবে পলাশ অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ল সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি র্যাব।
ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পলাশের পরিচয় জানা গেছে। র্যাবের দেয়া তথ্যানুয়ায়ী, পলাশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুরের দুধঘাটা গ্রামে। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। ওই উড়োজাহাজের ১৭/এ নম্বর আসনের যাত্রী ছিল পলাশ আহমেদ। সে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের যাত্রী ছিল।
র্যাব বলছে, রোববারের অভিযানে নিহত বিমান ছিনতাইচেষ্টাকারী যুবকের আঙুলের ছাপ র্যাব ক্রিমিনাল ডেটাবেজের (অপরাধী তথ্যভাণ্ডার) একজন অপরাধীর সঙ্গে মিলে গেছে। ডেটাবেজ অনুযায়ী, যুবকের নাম পলাশ আহমেদ। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার।
ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খি উড়োজাহাজের (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) যাত্রী তালিকায় তার নাম উল্লেখ ছিল AHMED/MD POLASH। সিট নম্বর ১৭এ। পলাশ আহমেদ ঢাকা-চট্টগ্রাম অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ছিল।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান গণমাধ্যমকে জানান, নিহত ওই যুবক ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়েন চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে। চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল ওই বিমানটি।
ক্রিমিনাল ডাটাবেজ থেকে পলাশের পরিচয় শনাক্তের কথা বললেও ঠিক কী ধরনের অপরাধের জন্য তার নাম র্যাবের ক্রিমিনাল ডেটাবেজে যুক্ত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এ মুফতি মাহমুদ।
এর আগে রোববার রাতে ওই যুবকের পরিচয় নিয়ে একাধিক তথ্য জানানো হয়, যা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়। প্রথমে বলা হয় তার নাম মাহাদী। পরে বলা হয় মো. মাজিদুল। তবে টিকিটে তার নাম মো. মাজিদুল লেখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু আজ যে তথ্য এলো তাদের দেখা যাচ্ছে তার নাম মাহাদী ও মাজিদুল কোনোটিই নয়; তার নাম পলাশ।
গুলিতে নিহত হওয়ার সময় যুবকের নাম মাহাদী বলে জানান চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।
রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ওই যুবকের নাম মাজিদুল।
সিভিল অ্যাভিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৭টা ১৭ মিনিটে অভিযান শুরু করে। এটি শেষ হয় ৭টা ২৫ মিনিটে। এদিকে ঘটনার পর পর বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান ওঠানামা এবং অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত ৯টার পর বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পিবিএ/এফএস