পিবিএ ডেস্কঃ বাংলাদেশে ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ প্রথম সফর হতে যাচ্ছে ট্রাইনেশন সিরিজ ও বিশ্বকাপ; দুই আসর মিলে প্রায় ৭৪ দিন।
লম্বা সফরে পরিবার ছেড়ে থাকা আদতেই কঠিন।গৃহ কাতরতায় যারা ভোগেন বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্সে বিষয়টি নেতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে। একই সঙ্গে সৃষ্টি করতে পারে মানসিক চাপও। তাই বৈশ্বিক আসরে পরিবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সে হিসেবে সব ক্রিকেটারেরই সুযোগ ছিল পরিবার নিয়ে যাওয়ার। তবে বিশ্বকাপে কেবল চার ক্রিকেটারের পরিবার থাকছেন ইংল্যান্ডে। এরা হলেন – সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এদের মধ্যে আয়ারল্যান্ড সফর থেকেই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে রয়েছে সাকিব-পত্নী উম্মে আহমেদ শিশির ও তার কন্যা আলায়না হাসান অউব্রি। দুদিন আগে ইংল্যান্ড পৌঁছেছেন দুই বোন অর্থ্যাৎ মাহমুদউল্লাহ-পত্নী মিষ্টি জান্নাতুল কাউসার মিষ্টি ও মুশফিক-পত্নী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডি। সঙ্গে রয়েছে তাদের সন্তানরাও।
২ জুন, রবিবার যাবেন অধিনায়ক মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমি। শেষ বিশ্বকাপ বলেই কিনা শুধু স্ত্রী আর দুই সন্তান নয়, বাংলাদেশ অধিনায়কের বাবা এবং ভাইও যাচ্ছেন ইংল্যান্ডে।
বাকিদের অবশ্য পরিবার ছাড়াই কাটবে বিশ্বকাপ। এমনিতে কোনো সফরেই পরিবারকে সঙ্গে রাখেন না তামিম ইকবাল। পরিবারের উপস্থিতি তার মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে, তাই টেলিফোন কিংবা স্কাইপেতেই স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে প্রাত্যহিক যোগাযোগ রাখেন বাঁহাতি এ ওপেনার। এই তালিকায় রয়েছেন রুবেল হোসেনও।
পিবিএ/এমএস