করোনা মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে আরও কমেছে ভাইরাসে নতুন সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা। তবে আগের দিনের তুলনায় ফের বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ২ হাজার। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩০ হাজার।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ কোটির ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার।
শনিবার (২৯ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ হাজার ৮৯১ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২ হাজার ৩৮৮ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৪ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ ২২ হাজার ৩৭৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৮ হাজার ৯৫৬ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৬৩ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ১৭১ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। দেশটিতে মোট আক্রান্ত দুই কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৩৮৪ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ জন, রাশিয়ায় ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৫ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৯ হাজার ৭০৭ জন, তুরস্কে ৫২ লাখ ২৮ হাজার ৩২২ জন, স্পেনে ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার ৬৫৮ জন, জার্মানিতে ৩৬ লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ জন এবং মেক্সিকোতে ২৪ লাখ ৫ হাজার ৭২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৯ হাজার ২৯০ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ২০ হাজার ৪০৬ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৬৮ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৫ হাজার ৯১৯ জন, তুরস্কে ৪৭ হাজার ১৩৪ জন, স্পেনে ৭৯ হাজার ৯০৫ জন, জার্মানিতে ৮৮ হাজার ৮৮৪ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫৭ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।