বিশ্বের যে ১০ শহরে পকেটমারি হয় বেশি

পকেট মার

পিবিএ ডেস্ক: অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পকেটমারি একটি নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা। কিন্তু এই পকেটমার যে উন্নত বিশ্বেও বেশ চোখে পড়ার মতো তা হয়তে বাস্তবে না দেখলে বা এর কবলে না পড়লে বিশ্বাস করা কঠিন হবে। সাধারণত গুলিস্তান থেকে বাসে উঠেছেন। পল্টন এসে ভাড়া দিতে পকেটে হাত দিতেই দেখলেন ফোন-মানিব্যাগ নেই। পকেটমার খুব সাবধানে আপনার মানিব্যাগ নিয়ে উধাও। মনে মনে আফসোস করে বললেন, ইশ! বিদেশেই শান্তি। পকেটমার নেই। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে বিদেশে বেড়াতে গিয়েও পড়তে পারেন পকেটমারের পাল্লায়।

ট্রিপ অ্যাডভাইজর একটি তালিকা তৈরি করেছে পর্যটকদের জন্য। তালিকায় উঠে এসেছে সবচাইতে বেশি পকেটমারি হয় এমন দশটি শহরের নাম। তবে ঢাকা নেই এই তালিকায়। পর্যটকদের থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি করা এই তালিকার শুরুতেই আছে বার্সেলোনার নাম। স্পেনের বার্সেলোনা সবসময়েই টুরিস্টে ভরপুর থাকে। আর ভিড়ের সুযোগটাকেই কাজে লাগায় পকেটমাররা। স্পেনের মাদ্রিদও এই তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে।

তালিকার প্রথম পাঁচে স্থান করে নিয়েছে রোম, প্রাগ এবং প্যারিস। মজার ব্যাপার হলো তালিকার প্রথম দশের মধ্যে আটটি শহরই ইউরোপের। ইউরোপের বাইরে প্রথম দশের দুটি শহর হলো আর্জেন্টিনার বুনোস এয়ারস এবং ভিয়েতনামের হ্যানোই।

জরিপে দেখা গেছে শহরে পর্যটকদের ভিড় যেসব স্থানে, সেখানেই পকেটমারদের আনাগোনা বেশি। ভিড়ের সুযোগে দক্ষতার সঙ্গে তারা পকেট থেকে ফোন এবং মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এমনকি নারী পর্যটকদের ব্যাগের চেইন খুলেও অর্থ নিয়ে নেয় তারা।

এই তালিকা দেয়ার পেছনে অবশ্য একটা উদ্দেশ্য আছে। আর তা হলো পর্যটকদের সাবধান করা। পকেটমারের ভয়ে তো আর বেড়ানো বন্ধ করা যাবে না। তাই যে কোনো ভিড় স্থানে নিজের পকেট সামলে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নাহলে বেড়াতে গিয়ে উপভোগ করার বদলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...