বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি ফটোগ্রাফারদের কাণ্ড!

foraign-photography-PBA

পিবিএ ডেস্ক: সদ্য শেষ হওয়া বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে বিদেশি কয়েকজন আলোকচিত্রীর সাজানো ছবি তোলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ ইন্টারনেট জগতে৷

২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিন টঙ্গী রেল স্টেশনে অপেক্ষমান একটি ট্রেনের এক শিশু জানালা দিয়ে মাথা বের করে মোনাজাত করছিল ৷ তাকে ঘিরে ছবি তুলতে ব্যস্ত কয়েকজন বিদেশি ফটোগ্রাফার৷ মোনাজাতের মধ্যেই তাকে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছিলেন ফটোগ্রাফাররা৷

অনেকেই, বিশেষ করে দেশি-বিদেশি ফটো সাংবাদিকরা এ ধরনের ‘অনৈতিক’ কাজের তীব্র সমালোচনা করেন৷ সাথে সাথে যেসব ফটোগ্রাফারের সহায়তায় এরা এদেশে এসে এ ধরনের কাজ করেন, তাদেরও সমালোচনা করেন তারা৷

উল্লেখ্য যে, বিশ্ব ইজতেমাসহ কিছু অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিদেশি ফটোগ্রাফারদের জন্য বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফিক প্যাকেজ ট্যুর আয়োজন করেন বাংলাদেশের কিছু ফটোগ্রাফার৷ পেটাপিক্সেল সাইটে এর সমালোচনা করে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন দেশের পেশাদার আলোকচিত্রীরা৷

জানা যায়, বিদেশি ওই ফটোগ্রাফারদের মধ্যে যিনি দরজায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলছিলেন তিনি হলেন মালয়েশিয়ার ফটোগ্রাফার ড্যানি ওং৷ বেশ কিছু আন্তর্জতিক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া এই আলোকচিত্রীর বিশ্ব ইজতেমারই একটি ছবি গত দুই বছর আগে সমালোচিত হয় বিশ্বজুড়ে৷ মালয়েশিয়ার ট্রাভেল ফটোগ্রাফার সোসাইটি (টিপিএস)-এ সে বছর প্রথম পুরষ্কার পাওয়া তার ছবিটি তিনি তৈরি করেছিলেন দু’টি ছবি জোড়া লাগিয়ে৷ বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরে অবশ্য তার সে পুরস্কার বাতিল ঘোষণা করেছিল টিপিএস কর্তৃপক্ষ৷

প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আলোকচিত্রীরা আসেন ছবি তুলতে৷ আর এর মধ্যে বেশিরভাগই আসেন চীন, মালয়েশিয়া ও কোরিয়া থেকে৷ উদ্দেশ্য, পুরষ্কারের ছবি তোলা৷ আর এসব ফটোগ্রাফার বেশিরভাগ ছবিই তোলেন সাজিয়ে গুছিয়ে, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই৷ গত কয়েক বছর ধরেই বিদেশি এসব ফটোগ্রাফারদের কর্মকাণ্ড সমালোচনা করে আসছিলেন বাংলাদেশি ফটো সাংবাদিকরা৷ তাদের দাবি, বাংলাদেশের খারাপ দিকগুলোকেই বিশ্বের কাছে আলোকচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন কিছু বিদেশি ফটোগ্রাফার৷

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...