পিবিএ,ঢাকা: ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম স্থগিত করা হলো। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসবে বিশ্বের প্রায় অর্ধ শতাধিক দেশ থেকে মুসলিমরা এসে থাকে।
গত বছর থেকে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার নির্বাচন ও তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পকে নিয়ে বসা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ। একইসাথে তাবলিগের জামাতের মধ্যে বিরোধও রয়েছে। এসব বিবেচনায় তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। একই সাথে তাবলিগের দুই পরে সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তারা কোনো জোড় (জমায়েত), ওজহাতি জোড় (স্পষ্টকরণ জমায়েত) কিছুই করতে পারবেন না। এ ছাড়া, একটি প্রতিনিধি দল ভারত যাবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আলাপ আলোচনা করে সমাধান করবেন।
জানা যায়, তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পই জানুয়ারিতে পৃথক পৃথক তারিখে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা করার ঘোষণা দিয়েছিল। ভারতের তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীরা গত বিশ্ব ইজতেমার পর ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমার জন্য ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন। অন্য দিকে মাওলানা সাদবিরোধীরা ও কওমি আলেমদের নিয়ে সম্প্রতি ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেছিল। একইসাথে দুই পই পৃথক তারিখে জেলা ভিত্তিক জমায়েতের তারিখ নির্ধারণ করেছিল। আর এই জমায়েতকে কেন্দ্র করে দুই পরে মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এ দিকে, ভারতের তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে তাবলিগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারত যাবে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, মাওলানা ফরীদ উদদীন মাসঊদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, তাবলিগের আহলে শুরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ যোবায়ের, ধর্মসচিব মো: আনিছুর রহমান ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ।
পিবিএ/এফএস