
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব হার্ট দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘ইউজ হার্ট ফর এভরি হার্ট’। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে গুরুত্ব সহকারে।
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশানাল হার্ট ফাউন্ডেশন দিবসটি পালন করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য রোগের তুলনায় হৃদরোগে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি দুই মিনিটে দেশে একজন মানুষ হৃদরোগে মারা যান। আর প্রতি ঘণ্টায় মারা যান প্রায় ৩২ জন। দিনে এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭৬৯ জনে। যার সংখ্যা মাসে ২৩ হাজার ৮৩। হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ। এর ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। তামাক ব্যবহারজনিত অসুখে দেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়।
তামাকজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে শক্তিশালী আইন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
তিনি বলেন, তামাকজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আইন সংশোধনের পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী। তামাক কোম্পানির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে খসড়াটি দ্রুত চূড়ান্ত করতে হবে।
জিবিডির তথ্য অনুযায়ী, তামাক বাংলাদেশে মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি। সম্প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করছে যা হৃদরোগ পরিস্থিতিকে আরও ভাবিয়ে তুলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে এবং এর অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বিশ্বে ১৯ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করেন।