বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতিকে ধর্ষণ, অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টা

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে মোংলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে জোর করে ধর্ষন ও অবৈধ মেলামেশায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে এক যুবতি।

যুবতির অভিযোগ, মোংলার চাদঁপাই ইউনিয়নের নারকেলতলা এলাকার আয়নাল নায়েন নামের এক যুবক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঘটান এলাকায় জানাজানি হলে আয়নাল উল্টো ঘটনা মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে ওই যুবতীকে নষ্ট বলে আখ্যায়ীত করে অপবাদ রটানোর চেষ্টা করছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা সার্কেল) এঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নির্যাতিতা ওই নারীর পরিবার সুত্রে ও খোজ নিয়ে জানা যায়,মোংলা উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের নারকেলতলা আবাসনে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বসবাস করতেন কৌইন বিশ্বাস। কৌইন বিশ্বাসের মেয়ে ওই যুবতী (২২)। একই এলাকার স্থানীয় জনৈক কোরবান মল্লিকের ছেলে আয়নাল (৪০) নামের এক ব্যাক্তির কুনজরে পরে সে। তাকে অসহাত্বের সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। পরে তাকে বিয়ের করার আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক গড়ে। বর্তমানে সে ৫ মাসের অন্তঃসত্তা। তবে প্রতিবেশী যুবক আয়নালকে এ কাজে বাঁধা প্রদান করলেও তাকে ভয়ভিতী দেখাতেন বলেও যুবতী অভিযোগ করেন।

প্রভাবশালী একটি মহল তাকে সুবিচার পাইয়ে দেয়ার নাম করে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করে। মোটা অংকের টাকার বিনিময় এটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় ব্যাথ হয় প্রভাবশালী ওই মহলটি। স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সাঙ্গপাঙ্গরা টাকার বিনিময় ওই নারীর গর্ভপাত করানেরও চেষ্টা করলেও ডাক্তারের চাপের মুখে তা ব্যার্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এক পর্যায় লোকলজ্জায় ভয়ে কাউকে কিছু না বলে পরিবারের সদস্যরা ইউপি মেম্বারের কাছে বিচারের দাবি জানায়।

তবে বিষয়টি সমাধান না করে এব্যাপারে কোথাও কোন অভিযোগ না করার নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলেও জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার।
শনিবার দুপুরে বিষয়টি সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা সার্কেল)কে জানালে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেয়া হয়।

নারকেলতলা আবাসনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক জানায়, গত ৫দিন পুর্বে এঘটনা নিয়ে লোকমুখে শুনেছি তবে মেয়েটি অনেক জায়গায় কাজ করে, কার মাধ্যমে হয়েছে সেটা আমাদের অজানা। তবে স্থনীয়দের দাবী, একটি মহল মেয়েটিকে নিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। এসব অনৈতিক কার্যকলাপের সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক এলাকায় ব্যাভিচার বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবসী।

ইউপি মেম্বার হারুন মল্লিক জানায়, যুবতীর গর্ভপাত করানোর জন্য নয়, বিষয়টি যাচাই করার জন্য আমার স্ত্রী (রুবি বেগম) তাকে পরিক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছিল।

সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা সার্কেল) মোঃ আসিফ ইকবাল জানান, শনিবার মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে, তবে এলাকায় তাকে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে এবং লিখিত আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশও পাঠানো হয়েছে, আবেদন পেলেই মামলা নেয়া হবে।

পিবিএ/শেখ সাইফুল ইসলাম কবির/এমএ

আরও পড়ুন...