নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : “বৃক্ষ নিধন আর নয়, দেশকে করো বৃক্ষ ময়” শ্লোগানে আজ শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০, সকাল সাড়ে দশ ঘটিকায় রাজধানীর কামরাঙ্গীচর বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে এক নদী পরিচ্ছন্ন অভিযান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর বাংলাদেশ।
কামরাঙ্গীর চর টাওয়ার ঘাট এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির ৫০০ টি ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রথম আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযানের শুরুতে টাওয়ারঘাট মাঠের প্রবেশ পথের সাতটি অবৈধ দোকান উচ্ছেদের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন অভিযানে উপস্থিত হন ৫৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান মাতবর।
নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নদীপুত্র সুমন শামস এর নেতৃত্বে নোঙর পরিবারের সদস্যদের সাথে ৫৭-নং ওর্য়াডের ১১ জন পরিচ্ছ্ন্ন কর্মী যুক্ত হয়। এ প্রসঙ্গে সুমন শামস বলেন, ‘নদী ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বুড়িগঙ্গা নদী থেকে আমাদের আজকের এই কার্যক্রম শুরু, যা পর্যায়ক্রমে ঢাকার চারপাশের নদীর তীর ভূমিতে এই পরিচ্ছ্ন্ন অভিযান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
রাজধানী ঢাকা শহরের প্রধান নদী বুড়িগঙ্গা ও আদিবুড়িগঙ্গা নদী এখনো দখল-দূষণ চলমান আছে, করানা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রেখেছে। তাই বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নদ-নদী, পরিবেশ ও প্রতিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি নদী পাড়ের জন প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগণকে সক্রিয় ভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান সুমন শামস।
তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের সময়ে ‘নদী সুরক্ষার এই আন্দোলন বৃক্ষরোপণ ও পরিচ্ছন্নতা
সীমিত অভিযানের মাধ্যমে আবার শুরু হলো। প্রভাবশালিরা নদীর জায়গায় অবৈধভাবে অসংখ্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে অথচ এক সময় এই আদি বুড়িগঙ্গা নদী বুড়িগঙ্গার আদি স্রোত ধারা ছিলো যা এখন খুঁজে পাওয়া যায় না!
তিনি আরো বলেন, হারিয়ে যাওয়া আদি বুড়িগঙ্গা নদীর সমস্ত অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে বছিলা এলাকার বুড়িগঙ্গা সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে এ মৃত নদীকে বাচিয়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের আজকের প্রয়াস। একই সাথে দেশের সকল নদ-নদীকে জীবন্ত রাখতে হলে দখল হয়ে যাওয়া নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেবার কোন বিকল্প নেই।
এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রীত অতিথি ঢাকা সিটি কর্পরেশনের ৫৭-নং ওয়ার্ডকাউন্সিলর জনাব সাইদুর রহমান মাদবর বলেন, নোঙর’র এই বৃক্ষরোপণ কর্মসুচি এবং বুড়িগঙ্গা নদী পরিচ্ছন্ন অভিযানের মতো মহতি উদ্যোগ কে আমি সাধুবাদ জানাই।বুড়িগঙ্গা নদী এবং আদি বুড়িগঙ্গা নদীর সুস্থ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে নোঙর’র সকল কর্মকান্ডের সাথে একযোগে কাজ করাতে আমি এবং আমার এলাকার জনগণ সদা প্রস্তুত।
তিনি বলেন নদী সুরক্ষিত রাখতে হলে নোঙর পরিবারের অতন্দ্র প্রহরীদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকার স্থায়ী ভাবে যদি নিয়োগ দিতে পারে, তা হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কামরাঙ্গীর চর নৌ-পুলিশ ইন্সপেক্টর আবু বকার সিদ্দিক, নোঙর সদস্য – এফ এইচ সবুজ, মো. আনোয়ার হোসেন, আমিনুল হক চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন জনি, সুমন মোস্তাফিজ, মো. বাহারুল ইসলাম, মো. শরাফত আলী।
আরো উপস্থিত ছিলেন নোঙর-বুড়িগঙ্গা শাখার আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান, সদস্য সচিব- মো. শাহজাহান এবং সদস্য মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ শাহিন, মো. মনির, মোহাম্মদ সবুর, মোহাম্মদ হায়দার, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ এস এম রাজু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন রনি, মোহাম্মদ ইলিয়াস আলি খান, মোহাম্মদ ডালিম প্রমুখ।
পিবিএ/সুমন শামস/এমএ