পিবিএ,ঢাকা: ‘বৃত্তি প্রতিযোগিতা’য় বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে লাখো টাকার দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর নামে কোনো কর্মকাণ্ড চালাতে গেলে অনুমতি নিতে হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের। ট্রাস্ট ও শিক্ষা উপমন্ত্রী জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া অর্থ সংশ্লিষ্ট এমন কাজ করায় ‘বঙ্গবন্ধু থিম ও থিংক পার্ক নামের’ সংগঠনটির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন তারা।
যেহেতু আয়োজনটা বঙ্গবন্ধুর নামে তাই ক্যামেরার সামনে অভিযোগ জানাতে রাজি নন স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।
ঘটনা গত বছরের শুরুর দিকের। বঙ্গবন্ধু থিম ও থিংক পার্ক নামের সংগঠনটি রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে একশ টাকার বিনিময়ে একটি ফরম বিতরণ করে। এতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২৫টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়।
শুধু ধানমণ্ডি কামরুন্নেছা বিদ্যালয়েই ফরম ও নিবন্ধন ফি’র নামে তোলা হয় প্রায় এক লাখ টাকা। গত বছরের জুন থেকে ৫ ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু টাকা মেলেনি আজও।
টাকা মিলবে কবে সেটি জানতে আমাদের অনুরোধে ফরমে থাকা নাম্বারগুলোতে ফোন করেন স্কুলের শিক্ষকেরা। কিন্তু সেই পুরনো টালবাহানা।
কামরুন্নেছা ছাড়াও ধানমণ্ডি, আজিমপুর ও তেজগাওএর তিনটি বালিকা বিদ্যালয়, শেখ জামাল, নাখালপাড়া, কে এম বশির, নব কুমারসহ ১২টি স্কুলে চালানো হয় তথাকথিত এই বৃত্তি প্রতিযোগিতা।
যদিও বঙ্গবন্ধু ট্রাষ্ট লিখিতভাবে জানিয়েছে সংগঠনটির অনুমতি নেই। অনুমতি প্রদানের কোনো এখতিয়ার নেই কোষাধ্যক্ষেও। সাবেক কোষাধ্যক্ষ এ এম রফিক যেহেতু মারা গেছেন তাই তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে কিনা সেটি নিয়েও সন্দেহ জানায় ট্রাষ্ট।
সব শুনে শিক্ষা উপমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ ধরণের কর্মকান্ড বন্ধে দেশের সকল স্কুলকে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করবেন তারা।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এখানে যদি দেখা যায়, কেউ অর্থ লোপাট করেছে, অর্থ নিয়েছে, সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে। সেই অর্থ যদি ফেরত দেয়া না হয়ে থাকে তাহলে সেটা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে আমরা ব্যবস্থা নেব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক আবেগ ও ভালোবাসা রয়েছে এই জাতির, সেই আবেগ ও ভালোবাসা নিয়ে যাতে কেউ অন্যায় সুবিধা নিতে না পারে সেটি দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও জনগণ সকলের।
পিবিএ/জেআই