বেনাপোলে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

পিবিএ,বেনাপোল: আসছে খুশির ঈদ। সকল মুসলিমের মনে তাই ঈদের খুশির আনন্দ ধারা। নতুন জামা, নতুন পোশাক পরে ঈদের নামায পড়তে যাওয়া এ এক অন্য রকম অনুভূতি। পবিত্র ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে শার্শা উপজেলার ঈদের মার্কেট।

নতুন পোশাক কিনতে ভিড় বেড়েছে ছেলে-মেয়ে, তরুন-তরুনী, যুবক-যুবতি থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের। মহা পবিত্র মাহে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে এসে যশোরের শার্শায় হঠাৎ করে দোকানিরা বেচা-কেনায় ব্যস্ততম সময় পার করছে।

বেনাপোলে জমে উঠেছে ঈদের বাজার
বেনাপোলে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

বাংলাদেশের ঈদ মানেই নতুন পোশাক, ঈদ মানেই আনন্দ। নতুন পোশাক ছাড়া কোন প্রকার ঈদের আনন্দ জমেই না। তাই ছোট বড় সবাই তাদের পছন্দের কাপড় কিনতে দোকান গুলোতে ভিড় করছে। শার্শা উপজেলার শার্শা, নাভারন, বেনাপোল ও বাগআঁচড়া বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে হঠাৎ করে কাপড়ের দোকান গুলাতে অনেক ভিড় জমছে। চলছে সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যস্ত আবার ইফতারের পর থেকে রাত অবধি চলছে বেচাকেনা।

নতুন জামা কিনে নতুন জুতা ছাড়া কি ঈদ জমে তাই কাপড় কিনে সোজা তারা চলে যাচ্ছে জুতার দোকানে। তারপর জামা জুতার সাথে মিল করে প্রসাধনী সামগ্রী কেনার প্রয়োজন। তাই কাপড় আর জুতা মিল রেখে ক্রেতারা একেবারে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের প্রসাধনী সামগ্রীও।

দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে মানুষের কেনাকাটার আগ্রহ। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে শার্শা উপজেলার ঈদের বাজারগুলো। শার্শা বাজারের ভাই ভাই বস্ত্রালয়, জিয়া গার্মেন্টস, আসিক শাড়ি হাউজ, নাভারন বাজারের নিউ মার্কেটের আকমান বস্ত্রালয়, রুপালি বস্ত্রালয়, টপ বার্মিজ, ববি বার্মিজ, সম্রাট সু, পায়ে পায়ে সু, চায়না বার্মিজ, সাথী ষ্টোর, খেয়াল ষ্টোর, বেনাপোল বাজারের এম এম ফ্যাশান কর্নার, সিদ্দিকিয়া বস্ত্রামহল এন্ড টেইলার্স, ঢাকা গার্মেন্টস, আর ফ্যাশান কর্নার, বিচিত্রা টেইলার্স, বিউটি সু, লিমা সু, সম্রাট সু এবং বাগআঁচড়া বাজারের মিতালি গার্মেন্টস, সুমন টেইলার্স, নজরুল ক্লথ স্টোর, নাজ সু, মিলন সু, পায়ে পায়ে সু সহ আশেপাশের সব দোকান গুলোতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়।

নাভারন বাজারের আকমান বস্ত্রালয়ের মালিক জনাব আকমান হোসেন জানান, আমরা এই ঈদে ক্রেতা সাধারণের জন্য টপ কলেকশন শাড়ি ও থ্রিপিচ এনেছি বেচা-কেনাও বেশ ভালো, তবে এখনও পুরাদমে বেচা-কেনা শুরু হয় নাই। প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানদাররা জানান, এই ঈদে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।

তবে আর এক সপ্তাহ পরে অর্থাৎ ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকতে বেচাকেনা বেশি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। জুতার দোকানগুলোতেও ক্রেতাসাধারণের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে এবার বাজারে সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে মিলন সু, বিউটি সু, পায়ে পায়ে সু, বার্মিজসহ বিভিন্ন ধরনের চায়না সুজ।

পিবিএ/এনইউ/আরআই

আরও পড়ুন...