বেনাপোলে রেলপথে কন্টেইনারে এলো পিক আপ ভ্যান

পিবিএ,বেনাপোল: রেলপথে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত শুরুর পর থেকে একের পর এক পণ্য আমদানি হচ্ছে কার্গো ট্রেনে। সড়ক পথে বনগাঁর কালিতলা পার্কিং এর নামে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের তৎপরতা কমাতে বেশির ভাগ পণ্য আসবে কার্গো ট্রেনে। শুকনা ঝাল, প্রসাধনী দ্রব্য, গার্মেন্টস এর ডেনিম ফেবিক্স এর পর এবার এলো টাটা মটরসের পিকআপ ভ্যান। কোলকাতা থেকে ৫১টি পিকআপ ভ্যান নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বেলা ৫টার দিকে বেনাপোল বন্দরে পৌছে কার্গো ট্রেনটি। পরে ট্রেন থেকে পণ্য আনলোড করে বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার বাংলাদেশ এজেন্ট টিসিআই বাংলাদেশ লিমিটেডের ভেন্ডর পার্টনার এম এম ইন্টারন্যাশনাল এর সত্বাধিকারী মেহের উল্লাহ বলেন, আমরা ভারতের সাথে কার্গো ট্রেনে সকল ধরনের পণ্য আসায় পার্টনার হিসাবে কাজ করছি। ট্রেনে পণ্য আসলে অনেক সুবিধা ও নিরাপত্তা থাকে। এখন থেকে বেশীর ভাগ আমদানি পণ্য ভারত থেকে ট্রেনে আসবে। আবার রফতানি পণ্য ও ওয়াগানে ভারতে যাবে সে লক্ষে কাজ করা হচ্ছে।

বেনাপোল রেল ষ্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, ভারত থেকে যে ৫১টি পিকআপ ভ্যান কার্গো ট্রেনে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। তার চার্জ হিসাবে রেল কর্তৃপক্ষ এক লাখ ২৩ হাজার ৮ শত ২২ টাকা আদায় করেছে। তিনি বলেন এ রেলের মাধ্যেমে পণ্য আসা যাওয়া করলে রেল খাতেরও উন্নয়ন হবে।

উল্লেখ্য আমদানি পণ্যবাহী সাইট-ডোর কার্গো ট্রেনে কন্টেইনারের মাধ্যমে সপ্তাহে প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে। রেল কন্টেইনারের মাধ্যমে বেনাপোল বন্দর দিয়ে অবাধে আমদানিযোগ্য প্রতিটি পণ্য আমদানি নীতি আদেশ পরিপালন সাপেক্ষে আমদানি করা যাবে। এ ছাড়াও বন্ডেড পণ্য, শর্তযুক্ত পণ্য অন্যান্য পণ্যের শর্তাদি পরিপালনপূর্বক আমদানি করা যাবে। তবে গুঁড়ো দুধ ও বন্ডেড সুবিধা বর্হিভূত সুতা আমদানি করা যাবে না।

পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, আঁদা, রসুন, হলুদ, মসুর ডাল, শুকনা বরই, তেঁতুল, তেঁতুলের বীজ, সার, স্টোন চিপস, ফ্লাই অ্যাশ, জিপসাম, খৈল, তুলা, ধানবীজ, চালসহ কাস্টম হাউস বেনাপোলের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে বাল্ক আইটেমের অন্যান্য পণ্য বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে আমদানি অব্যাহত থাকবে। একটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ৪২টি রেলবগিতে পণ্য আমদানি করা যাবে। একটি ট্রেনের সকল বগিতে সাইট-ডোর কন্টেইনারের মাধ্যমে একই আমদানিকারকের একই ধরনের বা একাধিক ধরনের পণ্য আমদানি করা যাবে। এছাড়া একাধিক আমদানিকারকের এক ধরনের পণ্য আমদানি করা যাবে। বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য আনলোডিং এর স্থানের কাজ বন্দর কতৃপক্ষ দ্রুত শেষ করবে। কাস্টমস কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পণ্য আনলোড করা হবে। পোর্ট ক্লিয়ারেন্সের ভিত্তিতে ট্রেন বন্দর ত্যাগ করবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, আমদানির নতুন দিগন্ত শুরু হওয়ার সুচনায় প্রথম দিন গত ২৬ জুলাই এসেছিল কার্গো ট্রেনে ৫০টি কন্টেইনারে গার্মেন্টসসহ প্রসাধনী পণ্য সামগ্রী। মঙ্গলবার টাটা মটরসের ৫১টি পিকআপ ভ্যান একসাথে এসেছে। এতে আমদানিকারকদের খরচ ও সময় অনেকটা বাঁচবে। ভারত থেকে কন্টেইনার বোঝাই বিভিন্ন মালামাল এখন থেকে কার্গো ট্রেনে আসা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বন্দর একটি চার্জ পাবে। ব্যবসায়ীদের খরচ কম হবে। আগে সাধারণ রেলে পণ্য এসেছে ভারত থেকে। এখন থেকে কন্টেইনার এর মাধ্যেমে পণ্য আসা শুরু হলো। ব্যবসায়ীরা রেলপথে আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

পিবিএ/শেখ নাছির উদ্দিন/এসডি

আরও পড়ুন...