বেনাপোল চেকপোষ্টে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

শেখ নাছির উদ্দিন,পিবিএ, বেনাপোল : কোরবানীর ঈদের লম্বা ছুটি কাটাতে ভ্রমন পিপাসু মানুষের বেনাপোল চেকপোষ্টে উপচে পড়া ভিড়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। প্রতিদিন হাজার হাজার বাংলাদেশী যাত্রী বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে যাচ্ছেন। যাত্রীদের অধিকাংশই পেসেনজার টার্মিনালে নানা ভাবে হয়রানীরর শিকার হচ্ছেন। বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী দই দেশের মধ্যে চলাচল করছেন। এবার কোরবানীর ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় ভারতে যাচ্ছে অনেকে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন দ্বিগুনের চেয়ে বেশী যাত্রী ভারতে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে এই চেকপোষ্ট দিয়ে ৩৫ হাজার যাত্রী ভারতে গেছেন। ভারত থেকে আসা যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম।

ভারতে যাওয়ার সময় খোলা আকাশের নীচে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা।
একজন পাসপোর্ট যাত্রীকে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে পৌছাতে বাংলাদেশ সাইডে ৭ জায়গায় লাইনে দাড়াতে হচ্ছে। যাত্রীরা বেনাপোল চেকপোষ্ট কাষ্টম ও ইমিগ্রেশন পুলিশের সেবায় সন্তষ্ট হলেও অভিযোগ করেন প্যাসেন্জার টার্মিনালের সেবারমান ও কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেকে প্যাসেন্জার টার্মিনাল ফী বাবদ ৪২ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও তাদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। তারপরও এখানে কোন বসার জায়গা নেই। ঈদের পরে ভারতে যাওয়ার যাত্রীদের চাপ বেশী থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীদের রোদ বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এখানে আবার রয়েছে আনসার ও আর্মড পুলিশ বাহীনি। এ আর্মড পুলিশ ও আনসার বাহীনির সদস্যরা যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়ে লাইন ছাড়াই আগে পার করে দিচ্ছেন বলে যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন। কারো কারো কাছ থেকে ১০০০ টাকাও নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। টাকা নিয়ে লাইন ছাড়াই ভিতরে ঢুকতে দেয়ায় লাইনে থাকা যাত্রীদের লাইনেই পড়ে থাকছে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। এখানে টাকা দিলে টার্মিনালের ভিতরে ঢোকা যাচ্ছে আর টাকা না দিলে ঢোকা যাচ্ছেনা। কিন্তু এটা দেখার কেউ নেই।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে সহজে পার হলেও দু’দেশের নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় আবারও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। ভারতীয় গেটে ধীর গতিতে পাসপোর্ট চেকিং করায় নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এ লাইনের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে এসব পাসপোর্ট যাত্রীদের। রোদ বৃষ্টি আর ব্যপসা গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠছে যাত্রীরা। বিশেষ করে ছোট শিশু, নারী রোগী ও বৃদ্ধরা পড়ছেন মহা বিপাকে।

বেনাপোল কাষ্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, বেনাপোল চেকপোষ্টে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোন যাত্রী যাতে হয়রানীর শিকার না হয় তার জন্য আমরা তদারকি করছি। রোগী ও শিশু সাথে থাকা যাত্রীদের লাইন ছাড়া প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের (ওসি তদন্ত) মো: মাসুম বিললাহ বলেন, গত সাত দিনে এ চেকপোষ্ট দিয়ে ৩৫ হাজার যাত্রী ভারতে গেছেন। রোগী ও বয়স্ক যাত্রীদের জন্য অগ্রাধীকার দেয়া হচ্ছে। আনসারদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে তাদের কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

পিবিএ/ নাছির /জেডআই

আরও পড়ুন...