বেরোবিতে কর্মচারীদের কর্মবিরতি: শিক্ষার্থীদের সাথে হাতাহাতি


পিবিএ ,বেরোবি (রংপুর): পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের তালা ভাঙ্গতে গেলে আন্দোলনকারীদের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ায় একাডেমিক কার্যক্রমেও অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে প্রশাসনিক ভবনের দুই গেটেই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নামে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের একটি সংগঠন। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম।
তিন দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীবান্ধব পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়ন, ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ১০ম গ্রেডপ্রাপ্ত ২৫ কর্মকর্তার পদমর্যাদা প্রদানসহ মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রশাসনিক ভবনের দুই গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিকষ্টে চাকরি করছি। কোনো রহস্যজনক কারণে কয়েকজনকে ৪৪ মাস যাবৎ বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। ২৮৮ জনকে বকেয়া পরিশোধ করলেও ৫৮ জন কর্মচারীর বকেয়া পাওনা আছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে বক্তব্য দিয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, ২৮৮ জনের বকেয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে মামলার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তাহলে, ৫৮ জনের ক্ষেত্রে কেন মামলার প্রশ্ন তোলা হলো? তাছাড়া, ওই ৫৮ জনের নামে কোনো মামলা নেই, তা আগেই চিঠির মাধ্যমে ইউজিসি’কে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। তাই, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫৮ জনের বকেয়া আটকে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন।

এদিকে চলমান কর্মবিরতিতে অনেকটা বেরোবির কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। আজ তালা লাগানোর ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনি ও একাডেমিক কার্যক্রম।
এ বিষয়ে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মাহবুবার রহমান পিবিএ’কে বলেন, আমরা অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতিএ ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন কোন সহযোগিতা বা আলোচনার ইঙ্গিত না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তালা দিয়েছি। দাবী আদায় অথবা কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আমরা তালা খুলবোনা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পিবিএ/এএএস/জেডআই

আরও পড়ুন...