নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার। বেশির ভাগ উপজেলাতেই নৌকার জয় হয়। তবে কিছু উপজেলায় আ’লীগের বিদ্রোহীরা জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। পিবিএ’র প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, উপজেলাগুলোর নির্বাচনের খবর তুলে ধরা হল:
রংপুর : গঙ্গাচড়ায় আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন ও কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মায়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তারাগঞ্জে আনিছুর রহমান লিটন (নৌকা), পীরগাছায় শাহ মো. মাহবুবার রহমান (লাঙ্গল), বদরগঞ্জে ফজলে রাব্বী সুইট (নৌকা), পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ মণ্ডল (নৌকা), জয়ী হয়েছেন।
বগুড়া : আদমদীঘিতে আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও শেরপুরে দলটির মজিবুর রহমান মজনু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বগুড়া সদরে আওয়ামী লীগের আবু সুফিয়ান সফিক, সারিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ মুহম্মদ মুনজিল আলী সরকার, নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, দুপচাঁচিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফজলুল হক প্রামাণিক, ধুনটে আওয়ামী লীগের আবদুল হাই খোকন, গাবতলীতে আওয়ামী লীগের রফি নেওয়াজ খান রবিন, শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগের সোহরাব হোসেন সান্নু, কাহালুতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আল হাসিবুল হাসান, সোনাতলায় আওয়ামী লীগের মিনাহদুজ্জামান লিটন ও শিবগঞ্জে স্বতন্ত্র ফিরোজ আহমেদ রিজু জয়ী।
নওগাঁ : সদরে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম রফিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মান্দায় আওয়ামী লীগের স ম জসিম উদ্দিন, বদলগাছীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সামসুল আলম খান, মহাদেবপুরে আওয়ামী লীগের আহসান হাবীব, পোরশায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহ মঞ্জুর মোরশেদ, পত্নীতলায় আওয়ামী লীগের আবদুল গাফ্ফার, রানীনগরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনোয়ার হোসেন হেলাল, আত্রাইয়ে আওয়ামী লীগের এবাদুর রহমান প্রামাণিক, নিয়ামতপুরে আওয়ামী লীগের ফরিদ আহমেদ, সাপাহারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহজাহান হোসেন, ধামইরহাটে আওয়ামী লীগের আজাহার আলী জয়ী।
ঠাকুরগাঁও : সদরে আওয়ামী লীগের অরুনাংশু দত্ত টিটো, বালিয়াডাঙ্গীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আলী আসলাম জুয়েল, হরিপুরে আওয়ামী লীগের জিয়াউল হাসান মুকুল, পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের আখতারুল ইসলাম, রানীশংকৈলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহরিয়ার আজম মুন্না জয়ী।
সিলেট : সদরে আওয়ামী লীগের আশফাক আহমদ (নৌকা), দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আবু জাহিদ, ফেঞ্চুগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. নূরুল ইসলাম, বালাগঞ্জে আওয়ামী লীগের মোস্তাকুর রহমান, বিশ্বনাথে আওয়ামী লীগের মো. নুনু মিয়া, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শামীম আহমদ শামীম, জৈন্তাপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামাল আহমদ, গোয়াইনঘাটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, জকিগঞ্জে আওয়ামী লীগের মো. লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, কানাইঘাটে আওয়ামী লীগের আবদুল মোমিন চৌধুরী, গোলাপগঞ্জে আওয়ামী লীগের ইকবাল আহমদ চৌধুরী (নৌকা), বিয়ানীবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কাশেম পল্লব জয়ী।
দিনাজপুর : হাকিমপুরে হারুন-উর রশিদ, ঘোড়াঘাটে রাফে খন্দকার শাহান শাহ ও পার্বতীপুরে হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের। এছাড়া বিরলে আওয়ামী লীগের একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বোঁচাগঞ্জে জাতীয় পার্টির মো. জুলফিকার হোসেন, বিরামপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খায়রুল আলম, ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান মিল্টন (নৌকা), খানসামায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু হাতেম, চিরিরবন্দরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম তারিক (আনারস), কাহারোলে স্বতন্ত্র আবদুল মালেক সরকার, নবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের মো. আতাউর রহমান (নৌকা) ও বীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের আমিনুল ইসলাম (নৌকা) জয়ী হয়েছেন।
গাইবান্ধা : সদরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর, সাদুল্যাপুরে আওয়ামী লীগের সাহারিয়া খান, পলাশবাড়িতে আওয়ামী লীগের একেএম মোকছেদ চৌধুরী, ফুলছড়িতে আওয়ামী লীগের জিএম সেলিম পারভেজ, সাঘাটায় আ’লীগের বিদ্রোহী জাহাঙ্গীর কবীর জয়ী হয়েছেন।
পাবনা : সদরে আওয়ামী লীগের মোশারোফ হোসেন ও সুজানগরে আ’লীগের শাহিনুজ্জামান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। এছাড়া চাটমোহরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল হামিদ মাস্টার, ভাঙ্গুড়ায় আওয়ামী লীগের মো. বাকি বিল্লাহ, বেড়ায় আওয়ামী লীগের আবদুল কাদের, সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান বিশ্বাস, আটঘরিয়ায় আ’লীগের বিদ্রোহী তানভির ইসলাম, ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাপ হোসেন গোলাপ জয়ী হয়েছেন।
মৌলভীবাজার : সদরে আওয়ামী লীগের মো. কামাল হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কমলগঞ্জে অধ্যাপক রফিকুর রহমান (আ’লীগ বিদ্রোহী), রাজনগরে শাহজাহান খান (আ’লীগ বিদ্রোহী), কুলাউড়ায় আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী একেএম শফি আহমদ সলমান (আনারস), জুড়ীতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী এমএ মোঈদ ফারুক (আনারস), শ্রীমঙ্গল-রণধীর কুমার দেব (আ’লীগ বিদ্রোহী), বড়লেখায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সোয়েব আহমদ জয়ী হয়েছেন।
ফরিদপুর : সদরে আওয়ামী লীগের আবদুর রাজ্জাক মাস্টার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগ মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, মধুখালীতে আওয়ামী লীগের মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু, আলফাডাঙ্গায় আ’লীগের বিদ্রোহী একেএম জাহিদুল হাসান, নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান সরদার, সালথায় আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ওয়াদুদ মাতুব্বর, চরভদ্রাসনে স্বতন্ত্র মোশারফ হোসেন ওরফে ভিপি মুশা (আ’লীগ সমর্থক), সদরপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাজী শফিকুর রহমান, ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এসএম হাবিবুর রহমান জয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালী : হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের মাহবুব মোর্শেদ লিটন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম : হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগের এসএম রাশেদুল, রাউজানে আওয়ামী লীগের একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগ খলিলুর রহমান চৌধুরী, সীতাকুণ্ডে আ’লীগের এসএম আল মামুন, মীরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের জসিম উদ্দিন, সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের মো. শাহজাহান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এইচএম আবু তৈয়ব (আনারস) নির্বাচিত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি : মানিকছড়িতে আওয়ামী লীগের মো. জয়নাল আবেদীন, সদরে আওয়ামী লীগের মো. শানে আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া দীঘিনালায় মো. কাশেম (নৌকা), মাটিরাঙ্গায় আ’লীগের মো. রফিকুল ইসলাম, রামগড়ে আওয়ামী লীগের বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, লক্ষ্মীছড়িতে আওয়ামী লীগের বাবুল চৌধুরী, মহালছড়িতে বিমল কান্তি চাকমা (স্বতন্ত্র) জয়ী হয়েছেন।
রাঙ্গামাটি : লংগদুতে আওয়ামী লীগের আবদুল বাকের সরকার ও কাপ্তাইয়ে আওয়ামী লীগের মো. মফিজুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সদরে মো. শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান (আ’লীগ), জুরাছড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুরেশ কুমার চাকমা, কাউখালীতে আওয়ামী লীগের শামসুদ্দোহা চৌধুরী, বিলাইছড়িতে জেএসএস মনোনীত বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, বরকলে জেএসএসের বিধান চাকমা জয়ী হয়েছেন।
বান্দরবান : সদরে আওয়ামী লীগের একেএম জাহাঙ্গীর (নৌকা), নাইক্ষ্যংছড়িতে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (নৌকা), রুমায় আওয়ামী লীগের উহ্লাচিং মারমা (নৌকা) এবং জেএসএসের অংথোয়াইচিং মারমা (আনারস), লামায় আওয়ামী লীগের মোস্তাফা জামাল (নৗকা), রোয়াংছড়িতে আওয়ামী লীগের চহাইমং মারমা (নৌকা), থানচিতে আওয়ামী লীগের থোয়াইহ্লামং মারমা (নৌকা), আলীকদমে বিএনপির বহিষ্কৃৃত প্রার্থী মো. আবুল কালাম (দোয়াত কলম) জয়ী হয়েছেন।
কক্সবাজার : চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফজলুল করিম সাঈদী (আনারস) জয়ী হয়েছেন।
সারা দেশে ভোটের চিত্র-
মৌলভীবাজার, কমলগঞ্জ ও রাজনগর : কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগানের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ব্যতীত অন্যান্য ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় জাল ভোটের অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুর রহমানের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ইসলামপুরের বাঘাছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা ৬২টি ব্যালেট পেপার ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আছকির খান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আহমদ ভোট বর্জন করেন।
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ভোট কারচুপির অভিযোগ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ভোট বর্জন করেছেন জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থিত তিন প্রার্থী। জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রফুল্ল কুমার চাকমা বলেন, আমার কর্মীদের ভোট দানে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ কারণে আমিসহ ভাইস চেয়ারম্যান সমানন্দ চাকমা ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান গোপা দেবী চাকমা ভোট বর্জন করছি। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ক্যজাই মারমা, কাকলী খীসা, একেএম হুমায়ন কবীর ও দুই নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভূমিকা ত্রিপুরা ও শেফালী আক্তার ভোট বর্জন করেন।
বগুড়া : বগুড়ার কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় ভোট গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীরা ঘুমিয়ে, আড্ডা দিয়ে, শিশুদের দোলনায় দোল খেয়ে সময় অতিবাহিত করেছেন। সারিয়াকান্দি উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ মুনজিল আলী সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুস সালামের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় সাতজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পিন্টু ও রেজাউল নামে দু’জনকে আটক করেছে। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বিঘ্নিত হয়।
বান্দরবান : থানচিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যহ্লাচিংয়ের সমর্থকদের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার দিল মোহাম্মদ এবং সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার সাদত হোসেন মারাত্মক আহত হয়েছেন। অপরদিকে সদরে অবৈধভাবে কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছোট ভাই ইউনিয়ন সচিব মো. জাহাঙ্গীরকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঠাকুরগাঁও : সদর উপজেলার একটি ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে চিলারং ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীকে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে পীরগঞ্জ উপজেলায় জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম : ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এইচএম আবু তৈয়বের (আনারস প্রতীক) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোটের চিত্র দেখা গেছে। কোনো কেন্দ্রে ভোটারের দেখা ছিল না। ৩ হাজার ভোটের মধ্যে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৩০০। ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় আলাউদ্দীন ও নাছির নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।
গাইবান্ধা : ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল হোসেন ইউসুফকে পুলিশ আটক করেছে। এদিকে ফুলছড়ির উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পর্যবেক্ষকদের মতে গাইবান্ধার অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।
সিলেট, ফেঞ্চুগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ : ফেঞ্চুগঞ্জের পিটাইটিকর ছত্তিশ, ছত্তিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দরগাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জামেয়া ইসলামিয়া দক্ষিণ ফেঞ্চুগঞ্জ মাইজগাঁও সেন্টার, ব্রাহ্মণগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার তেমন পাওয়া যায়নি। বিশ্বনাথ উপজেলার কোনো ভোট কেন্দ্রেই ভোটারদের লাইন চোখে পড়েনি।
জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের তিরাশী ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটে। হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ সদস্যরাও। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি ও ১৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে। এতে কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হয়েছেন। জৈন্তাপুরের হাউদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী লিয়াকত আলী এবং ঘোড়ার প্রার্থী কামাল আহমদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় নৌকা প্রতীকের চার সমর্থককে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন আল আমিন, কুতুব, পারুল ও দেলোয়ার।
পাবনা : পাবনার ৮ উপজেলায় সোমবার শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সাভার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দু’জন আহত হয়েছেন। একই উপজেলার খাগরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদরে মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ভোটারের উপস্থিতিও ছিল কম।
পিবিএ/এফএস