‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধে হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তীব্র প্রতিরোধের মুখে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ১৮ জুলাই সকালে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এর ফলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায় এবং হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) আয়োজিত ‘দ্য রোল অব নিউ মিডিয়া ইন রেভ্যুলেশন অ্যান্ড রি-বিল্ডিং’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এনএসইউ’র মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম (এমসিজে) প্রোগ্রাম এ সেশনের আয়োজন করে।

শফিকুল আলম বলেন, এ আন্দোলনে বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বুক পেতে দিয়েছেন। কিন্তু এটি গণমাধ্যমে সেভাবে আসেনি। এটি আমাদের গণমাধ্যমের ব্যর্থতা। এ আন্দোলনে দুটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে বাংলা ব্লকেড একটি।

‘দিন হিসেবে ১৮ জুলাই এবং ৩০ জুলাইয়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো তার অন্যতম বড় দিক। এটি নিউ মিডিয়ার কারণে সম্ভব হয়েছে’ যোগ করেন প্রেস সচিব।

সেমিনারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের উপস্থাপন মানজুর আল মাতিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমি রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং এনএসইউর গ্রুপগুলোতে ছিলাম। সেখানে আমি দেখেছিলাম, কীভাবে সিভিল ওয়ারের প্ল্যান সাজানো হয়েছিল।

পতিত স্বৈরাচার জনগণকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ আন্দোলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতাও। আমি আমার মত প্রকাশ করবো, যেটি কারও সঙ্গে মিলবে না। কিন্তু তাতে কেউ বাঁধা দেবে না।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এমসিজে প্রোগ্রামের শিক্ষক ড. শরিফুল ইসলাম ইমশিয়াত। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন...