বেড়ানোর কথা বলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

পিবিএ,টাঙ্গাইল: বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে প্রধান আসামী ধর্ষক আব্দুর রহমানকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের পাঁচ ইর্তা গ্রামে। এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মোঃ সুমন মিয়া (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত সুমন মিয়া পাঁচ ইর্তা গ্রামের আবুল হাসেম মিয়ার ছেলে। গত শুক্রবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের সারাংপুর গ্রামের নির্জন মাঠে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার নাগরপুর উপজেলার পাঁচ ইর্তা গ্রামের এমদাদ মাস্টারের ভবন নির্মাণ শ্রমিক মাসুদকে সাথে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় হাটছিল ওই ছাত্রী। কিছু দূর যাওয়ার পর একই গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমানের সাথে তাদের দেখা হয়। এসময় বেড়ানোর কথা বলে আব্দুর রহমান ওই স্কুল ছাত্রী ও তার বন্ধু মাসুদকে মোটরসাইকেল যোগে পার্শ্ববর্তী সারাংপুর এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর আটককৃত সুমনের সহযোগিতায় আব্দুর রহমান ওই স্কুলছাত্রীর বন্ধু মাসুদকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

এরপর আব্দুর রহমান ওই ছাত্রীকে জোর করে সারাংপুর মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে নাগরপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, ধর্ষিতা ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। দায়েরকৃত মামলার ভিত্তিতে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় সুমন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুর রহমানকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...