পিবিএ, ঢাকা: ২০১৭ সালের পুরোটা সময় মূল্যবান ধাতুটির বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি আগের বছরের চেয়ে ২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮ সালেও একই ধারা অব্যাহত ছিল। এন্টওয়ার্প ওয়ার্ল্ড ডায়মন্ড সেন্টার (এডব্লিউসি) এবং বেইন অ্যান্ড কোম্পানির সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় হীরার বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে ২০১৭ সালে। বেকারত্বের হার বর্তমানে সর্বনিু পর্যায়ে থাকা ও ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কয়েক দফা সুদহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে চাঙাভাব বিরাজ করছে। ফলে বিলাসবহুল পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে যত হীরা বিক্রি হয়েছে, তার ৪৯ শতাংশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৭ সালে মোট বিক্রি হওয়া হীরার ৪৮ শতাংশ বিক্রি হয়েছিল দেশটিতে। মূলত দেশটি বিভিন্ন উৎসবকেন্দ্রিক (বড়দিন, নতুন বছর উদযাপন) বেচাকেনা হীরার বাজার বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। একক বাজার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে আছে চীন। ২০১৮ সালে বিশ্বের মোট হীরা বিক্রির ১৬ শতাংশ হয়েছে চীনে, যা ২০১৭ সালে ছিল ১৭ শতাংশ। হীরা বিক্রির একক বাজার হিসেবে তৃতীয় স্থানে আছে মধ্যপ্রাচ্য। গত দুই বছর বিশ্বে ৭ শতাংশ হীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিক্রি হয়েছে। ভারতে এ বিক্রির পরিমাণ ছিল ২০১৮ সালে ৬ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ৭ শতাংশ। জাপানে ২০১৮ সালে ছিল ৫ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ৪ শতাংশ। এ পাঁচটি দেশ ছাড়া সারা বিশ্বে ২০১৮ সালে বিক্রি হয়েছে ১৯ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ১৭ শতাংশ হীরা।
বিশেষ করে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় চীন ও ভারতের হীরার চাহিদা বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে মূল্যবান এ ধাতুর বৈশ্বিক উত্তোলন কমতে থাকবে। নতুন হীরার খনির অপ্রতুলতার কারণে আগামী বছরগুলোয় চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের চাহিদা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। যদি সামনের বছরগুলোয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ খনির আবিষ্কার করা না হয়, তাহলে ২০২০ সালের পর থেকে হীরার সরবরাহ কমে আসতে পারে। এতে বার্ষিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের বাজারটি আগামী দিনগুলোয় নানা সমস্যায় পড়বে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
পিবিএ/এফএস