ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও ডাকসুর সাবেক নেতা আখতার হোসেনসহ গ্রেপ্তার ও গুম হওয়াদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিসহ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পাশাপাশি মন্ত্রী থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত যারা সহিংসতার জন্য দায়ী- তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের নেতারা জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই দাবি মানা না হলে আরও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। তারা ঘরে বসে না থেকে রাস্তায় নেমে আসবেন। আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ ও মাহিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের প্রথমে নেতারা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ তুলে ধরে নিহত ও আহতদের বর্ণনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ‘র্যাব হেলিকাপ্টার দিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়েছে’ বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেন। তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, রাজপথে ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেছে তাদের কি গ্রেপ্তার করা হয়েছে?
সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, ১১-১২ দিন আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। কিন্তু চীন সফর থেকে এসে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানান। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলা হলেও তা সত্য না। সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশও করা হয়নি। বরং শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে অপরাজনীতি করা হচ্ছে। এ দায় সরকারেরই নিতে হবে।
সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, রোববার (২৮ জুলাই) জেলা, উপজেলাসহ সব পর্যায়ে হেলথ ফোর্স এবং লিগ্যাল ফোর্স গঠন করা হবে। তারা সারাদেশে আহত ও নিহতদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। এছাড়া সারাদেশে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ঢাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে আজ পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এছাড়া নাহিদ ইসলামসহ সমন্বয়কদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গেলেও পাঁচ মিনিটের বেশি দেখা করতে দেওয়া হয়নি।