উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা পালন করছেন অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণে দিনব্যাপী পাড়ায় পাড়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রার্থণা এবং বুদ্ধপূজার মধ্যে দিয়ে দিনটির সূচনা করা হয়। পরে বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ফল ও হরেক রকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে প্রদান করেন বৌদ্ধ ধর্মের বয়স্ক নারী পুরুষরা। তবে উৎসবটি ঘিরে উপজেলার রাখাইন পাড়া গুলোতে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। এ উৎসবকে ঘিরে বৌদ্ধ বিহার গুলোতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা জমায়েত হয়েছে।
বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সূত্রে জানা গেছে, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে প্রবারণা উৎসব পালিত হয়। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে কঠিন চীবরদান উৎসব। তাই বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা প্রবারণা উৎসব উপলক্ষে ঘরে ঘরে তৈরি করা হয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতিতে নানান পিঠাপুলি আর হরেক রকমের খাবার। এছাড়া পাড়ায় পাড়ায় নানা বয়সের রাখাইন নারী পুরুষরা নতুন পোশাক পরিধান করে বৌদ্ধ বিহারে গমন ছাড়াও রাতের আকাশে রংবেরঙ্গের উড়ানো হবে ফানুস। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের লোকজন ফানুস উড়ানো উৎসব উপভোগ করবে এনটাই আশা করেছেন তারা।
কুয়াকাটার শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের উপাধাক্ষ্য ইন্দ্র বংশ ভান্তে জানান, এটা আমাদের প্রধান উৎসবের মধ্যে অন্যতম উৎসব। সন্ধ্যায় শতাধিক ফানুস উড়িয়ে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের প্রবারণা উৎসব।
মিশ্রীপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মংলাচি তালুকদার তালুকদার বলেন, এ উৎসবকে ঘিরে নানা বয়সি মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। জগতের সবার মঙ্গল কামনা করছি। আজ আলোর ঝলকানিতে ফানুস উড়ানো হবে। আজকের এ উৎসবে চাওয়া হলো জাগতিক সবাই ভালো থাকুক। কারো অমঙ্গল না হোক।