ব্যবসার ফাঁদে ফেলে অপহরণ, লাশ ফেলে মেঘনা নদীতে

পিবিএ,ঢাকা: প্লাস্টিকের কাঁচামাল ক্রয়ের ফাঁদে ফেলে চকবাজারের প্লাষ্টিক ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদকে নিস্তেজ করে লাশ বরিশালের মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া ঘটনার চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুগ্ম-কমিশনার বিজয় বিপ্লব তালুকদার।

তিনি বলেন, জুয়েল সিকদার রাজধানীর চকবাজারের প্লাস্টিক ব্যবসায়ী। তার পূর্ব পরিচিত দেলোয়ার হোসেন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি তাকে প্লাস্টিকের কাচামাল কেনার ফাঁদে ফেলে ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী গত ১৪ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উলানিয়া ঘাটে আসে।

সেখানে কথিত ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান, আজিজ ও হাফিজ নামে এক মাঝি একটি ট্রলারে করে তাদের মেঘনা নদীতে নিয়ে যায়। পরে তাদের চোখে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে দেয় দেওয়ার। সেই সঙ্গে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে জুয়েলের সঙ্গে থাকা নগদ ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দেলোয়ার। এরপর জুয়েল ও তার কর্মচারি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাদের মেঘনা নদীতে ফেলে পালিয়ে যায় অপরাধীরা।

বিজয় বিপ্লব তালুকদার বলেন, এঘটনায় তিনদিন পর বরিশালের মুলাদি ও ইলিশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারি মোরর্শেদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের বাবা ডিএমপি চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার ও তার কর্মচারী মোর্শেদ আলম হত্যাকাণ্ডের জড়িত চারজনকে বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,নুরুজ্জামান হাওলাদার (৪০), মো. আ. আজিজ শিকদার (৩৪), হাফেজ চৌকিদার (৪৬) দেলোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে দেলু (৩৫)।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুগ্ন কমিশনার বলেন, অপহরণকারীরা পরষ্পরের যোগসাজসে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারিকে অপহরণ করে বরিশালে থেকে মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে মেঘনা নদী নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃতরা মরিচের গুড়া দিয়ে গলা চেপে তাদের নিস্তেজ করে। পরে জুয়েলের সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে তাদের মেঘনা নদীতে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ন কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র। তারা এর আগের এর ধরণের অপরাধ সংঘটিত করেছে। তাদের রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন...