পিবিএ,ঢাকা: হেমন্ত পেড়িয়ে এলো শীত।সারা দেশে শীতের দাপটে থর থর করে কাঁপছে মানুষ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রায় সারাদেশ। সেই সাথে কদর বাড়ে গরম কাপড়ের।
সাধারণত শহর অঞ্চলে শীতের তীব্রতা সামান্য কম হলেও গ্রামগঞ্জে শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। সারা বছর যেমনই যাক না কেন ,শীতকালে একটু বেশী কদর বাড়ে লেপ তোশকের। কম্বলের পাশাপাশি আদি আমল থেকে শীত বলতে লেপ মুড়িয়ে ঘুমানো। ব্যস্ত সময় সারা দেশের লেপ তোশকের দোকান গুলো। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলেরর জেলাগুলোতে গত কয়েক দিন ধরে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে।। ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে ইতোমধ্যেই ক্রেতাদের কাছে লেপ-তোশকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দোকানিদের দম ফেলার সময় নেই। কেউ পুরনো লেপ-তোশক ভেঙ্গে নতুন করে নিচ্ছে। আবার কেউ নতুন করে লেপ-তোশক-জাজিম-বালিশ শীতসামগ্রী বানিয়ে নিচ্ছে। তবে তুলার কারণে লেপ-তোশকের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে পলিতুলা-কাপাশতুলা-গার্মেন্টসতুলা-শিমুলতুলা। চার থেকে পাঁচ হাত লেপ বিক্রি হয় (তুলা ভেদে) ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
লেপ-তোশকের দোকান মালিক গন জানান, আমাদের অগ্রাহায়ন, পৌষ, মাঘ এই তিন মাস বেচাকেনা একটু বেশি থাকে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা অনেকটা বেশি মনে হয়। আর বাকি মাস গুলো টুকটাক কাজ করে সংসার চলে। সব খরচ বাদদিয়ে প্রায় বছরে ভাল টাকা থাকে। ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার যদি অল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে দোকানে আর মালামাল উঠানো যেত।
পিবিএ/ইএইচকে