ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পাহাড়ী এলাকার কৃষকেরা

serpur farmer PBA

পিবিএ,শেরপুর: মাঘ মাস। পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় শীতের প্রভাবটা একটু বেশি। এসময়ই বীজ তলা থেকে ধানের চারা তোলা হয়েছে।

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ইরি আবাদের জন্য তৈরী জমিতে কর্দমাক্ত হয়ে কৃষকেরা ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বর্তমানে উপজেলার বির্স্তীর্র্ণ এলাকার মাঠজুড়ে ইরি আবাদের ধুম চলছে। ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের জমিতে নেমে পড়ছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষের কাজ চলছে পুরোদমে। আবার কোন কোন ক্ষেতে বোরো ধান রোপনের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি আদিবাসী নারী শ্রমিকেরাও বোরো আবাদের কাজ করছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা সদর, ধানশাইল, কাংশা, নলকুড়া, গৌরীপুর, হাতিবান্দা, মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের কৃষকেরা বোরো আবাদের জন্য তৈরী জমিতে ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৪২৪ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী), ৬ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ৬ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পরিমাণ জমির ধান থেকে প্রায় ৯৩ হাজার মে.টন চাল উৎপাদন হতে পারে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

ঝিনাইগাতী গ্রামের কৃষক ইসমাইল জানান, সার ও কীটনাশকের দাম সহনীয় মাত্রায় থাকলে কৃষকের উপকার হয়। এই ব্যাপারে স্থানীয় বাজারের দিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেওয়া দরকার, যাতে কৃষকের উপকার হয়। তবে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন এ কৃষক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কৃষকেরা যাতে ন্যায্য মূল্যে সঠিক সময় সার-কীটনাশক পায় সে ব্যাপারে ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কোনো কৃষকের অভিযোগ থাকলে সরাসরি কৃষি অফিসে জানাতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে উপজেলার নিচু এলাকার প্রায় জমিগুলোতে ধানের চারা রোপণ শেষের দিকে। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকলে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

পিবিএ/এনআই/এফএস

আরও পড়ুন...