ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের হুমকির মুখে কয়েকশ বসতবাড়ি

পিবিএ,কুড়িগ্রাম: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উলিপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন। গত এক সপ্তাহে নীলকন্ঠ,হাতিয়ার গ্রাম ও নয়াডারা গ্রামের কয়েক একর আবাদী জমি ও ভিটে মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র নদী ভাঙ্গনে ঈদের আনন্দ নেই নদীর পাড়ের মানুষের।

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের হুমকির মুখে কয়েকশ বসতবাড়ি
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের হুমকির মুখে কয়েকশ বসতবাড়ি

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলকন্ঠ, হাতিয়ার গ্রাম ও নয়াডারা গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই সাথে আবাদি জমি বসতভিটা ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হচ্ছে। তাছাড়া কয়েকশ একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। এসব ভিটেমাটি যে কোন মূহুর্তে নদীর পেটে চলে যাওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা।

শুক্রবার (৭জুন) কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দা নবীর হোসেন(৬০) সাথে তিনি পিবিএকে বলেন, কয়েকদিনের নদী ভাঙনে ছামাদ ,ভেল্লা আজিত, হায়দার আলীরসহ কয়েকটি বসতভিটা ও কমল পালের ৩ একর, অপিজল মেম্বাররের ২ একর, রুহল আমিন মাস্টারের ২ একর, বিমল পালের ২ একর , ভবেশ পালের ২ একর, নজির হোসেনের ৫একরসহ ২০ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও একাধিক কৃষকের পাটক্ষেতসহ এলাকার কয়েকশ একর ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, হাতিয়া ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রহুল আমিন ও হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, নীল কন্ঠ গ্রামের নদী ভাঙ্গন রোধে জরুরীভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে নীল কন্ঠ গ্রামের কোন চিহ্ন থাকেবে না। নদী ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন।

হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, জরুরী প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর ভাঙন রোধ করা না হলে ঐ এলাকার জন বসতবাড়ী ও কয়েকশ আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে যাবে। সেই সাথে হাতিয়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি ভাঙন কবলে পড়বে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের পিবিএকে জানান, বিষয়টি দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হবে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোডের্র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম পিবিএকে বলেন, জরুরী প্রকল্পের জন্য অর্থ চাহিদা প্রেরণ করা হবে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

পিবিএ/এমবিআই/আরআই

আরও পড়ুন...