বয়স ৪০ এর পরও অপরুপ থাকার কিছু কৌশল

পিবিএ: বয়স বৃদ্ধি পাওয়া একটি অনিবার্য ঘটনা। কোন জীবিত মানুষই এর থেকে পরিত্রাণ পাবেনা। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির লক্ষণগুলো প্রকট হওয়াকে প্রতিহত করা সম্ভব এবং বেশিরভাগ মানুষই এটা চায়। খুব কম মানুষই আছেন এমন সৌভাগ্যের অধিকারী যাদের বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি আস্তে আস্তে হয় বা তাদের বয়স বুঝা যায়না।

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশেষ করে ৩৫ বছর বয়সের পড়ে আমাদের শরীরের কোষগুলোর নবীনীকরণ প্রক্রিয়া ধীর গতির হতে থাকে এবং কোষগুলো বুড়ো হতে থাকে। এর ফলে আমাদের ত্বক ও শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে।

বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে তারুণ্যদীপ্ত চেহারা পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে বয়সের ছাপ লুকানো সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রয়ার সম্ভাবনা আছে। এটি করানোও বেশ ব্যয়বহুল। তাই ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখার জন্য বেশিরভাগ মানুষই প্রাকৃতিক পদ্ধতির অনুসরণের পক্ষপাতি। প্রাকৃতিক এই প্রতিকারগুলো খুব সহজে ঘরেই করা সম্ভব। বয়স ৪০ হয়ে যাওয়ার পরেও ত্বকের বয়সের ছাপ লুকাতে করণীয় কিছু টিপস সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করুন

তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য এক্সফলিয়েশন হচ্ছে মূল কাজ। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের উপর মৃত কোষ জমা হতে থাকে। ফলে ত্বক হয়ে উঠে শুষ্ক ও রুক্ষ। তাই নিয়মিত ফেশিয়াল স্ক্রাব করুন।

২। অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করুন

বয়সরোধী উপাদান দিয়ে নির্মিত লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন। এই ধরণের ক্রিম ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে।

৩। নিয়মিত ম্যাসাজ করুন

নিয়মিত আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করুন এবং প্রতি রাতেই আপনার চোখের চারপাশে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করুন। এতে চোখের নীচে বলিরেখার ছাপ পড়া প্রতিহত হয়।

৪। চুলে রঙ করুন

বয়স ৪০ এর পড়ে চুলে পাক ধরা শুরু করে। যার কারণে বয়স বুঝা যায়। তাই এই সময় সাদা চুল ঢাকার জন্য চুলে রঙ করাতে পারেন।

৫। তরল খাবার খান

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও গ্রিনটি পান করুন। গ্রিনটি এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বককে তরুণ থাকতে সাহায্য করবে এবং পানি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে।

৬। প্রাইমার ব্যবহার করুন

আপনার বয়স যদি ৪০ হয়ে থাকে তাহলে প্রাইমার আপনার নতুন ও সবচেয়ে ভালো বন্ধু হবে। একটি ভালো প্রাইমার আপনার রিংকেল ও ফাইন লাইনকে ঢাকতে সাহায্য করবে এবং রোমকূপগুলোকে ছোট করতে সাহায্য করবে।

৭। লিপস্টিক

লিপস্টিকের শেড আপনার ত্বকের কালারের চেয়ে এক বা দুই শেড গাড় করে লাগানোর পরামর্শ দেন মেকআপ আর্টিস্ট ববি ব্রাউন। ম্যাট লিপস্টিকের পরিবর্তে ক্রিমি বা গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ব্লাশনের খেত্রেও পাউডার ব্লাশনের পরিবর্তে ক্রিম ব্লাশন ব্যবহার করুন।

৮। আই লাইনার

মেকআপ আর্টিস্ট ম্যালি রংকেল এর মতে, চোখের উপরে গাড় রঙের এবং নীচে হালকা রঙের লাইনার ব্যবহার করুন।

৯। নিয়মিত ব্যায়াম করুন

নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার ত্বক ঝুলে পড়া রোধ করা যায় এবং ত্বক টান টান থাকে। তাছাড়া সার্বিকভাবে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে ব্যায়াম।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...