ভাই-বোনদের ফোন করে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন রংপুরের মোস্তাফিজার

বনানী
ফাইল ছবি

পিবিএ, রংপুর : বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহতদের একজন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের কাংগুরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদ মুন্সী ও আয়শা খাতুন দম্পতির ছেলে মোস্তাফিজার রহমান। ৭ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে মোস্তাফিজার ছিলেন ৮ম।
৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মতিঝিলের টিকেতলীতে বসবাস করছিলেন তিনি। এফ আর টাওয়ারের অষ্টম তলায় একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সোয়া ১টার দিকে তার ছোট ভাই প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ও দুই বোন ফাহিমা এবং রহিমাকে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন মোস্তাফিজার।
শুক্রবার সকালে মোস্তাফিজারের বড়ভাই শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে এ তথ্য জানান। তারা সকলেই রাজধানীতে বসবাস করেন।

শহিদুল ইসলাম বলেন, এরপর তার ফোন বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এফ আর টাওয়ারে গিয়ে তার কোনো খবর পাইনি। পরে সেনাবাহীনির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতে সিএমএইচে গিয়ে মোস্তাফিজারের মরদেহ সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে বনানীর এফ আর টাওয়ারের নবম তলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারের কাজ করে। পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, এবং পুলিশ, র‌্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ অন্য স্বেচ্ছাসেবীর সংগঠনের সদস্যরা উদ্ধারের কাজে সহায়তা করে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

পিবিএ/ এসকে/ জেডআই

আরও পড়ুন...