ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ শেখ হাসিনার সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ ও তাকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বরে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন বক্তারা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি।
সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারত উম্মত হয়ে গেছে। নানা অপপ্রচার চালিয়ে তারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা বলেন, ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম পুলিশ সদস্যরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। আমরা সেই পুলিশের উত্তরসূরি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনে সাবেক পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত আছি।
ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে সাবেক এই আইজিপি বলেন, অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া অপরাধ, এটি ভারত সরকারকে বুঝতে হবে। আবার হাসিনাকেও বুঝতে হবে বিদেশের মাটিতে বসে দেশের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করে লাভ নাই। তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডিআইজি (অব.) এম আকবর আলী বলেন, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু ভারত তখন এত অস্থিরতা দেখায়নি। এখন ভারত কেন উম্মতের মত আচরণ করছে।
তিনি বলেন, ‘ আমরা ভারতের দালালি করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এদেশ স্বাধীন করেছি।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় রাজারবাগ থেকে শান্তিনগর, কাকরাইল, সেগুনবাগিচা হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে আসে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। মিছিল থেকে ‘ ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান’ ‘ড ইউনুস এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার পাশে’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তাদের হাতে ‘ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখবে বাংলার জনগণ’, ‘ধর্মে ভিন্ন জাতীয়তায় অভিন্ন’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। সমাবেশ শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবাদলিপি দেন তারা।