ওবায়দুল ইসলাম রবি, পিবিএ, রাজশাহী : রাজশাহীর কোরবানির পশু কেনা বেচার হাট এখন পর্যন্ত জমে উঠেনি । বিগত বছরে এই সময় জেলার সিটি হাটসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু কেনা বেচার জমজমাট হয়। জেলার হাটে পর্যাপ্ত গরু, ছাগল, মহিষ আসছে। কিন্তু বেচা-কেনার তেমন ভাবে জমে উঠেনি। অধিকাংশ গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা ফেরত নিয়ে যাচ্ছে তাদের পশু গুলো। এই অবস্থা চলেতে থাকলে কোরবানির পশুর দাম নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।
খামারিরা বলছেন, গরু ও ছাগল পালনের খরচ অনেক বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্ত বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি হয়নি। এর মধ্যে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে আসলে দেশিও গরু ছাগল পালন কারী এবং খামারীরা লাভের আশা করতে পারবে না। এছাড়া কর্মসংস্থান বিলুপ্ত হয়ে বেকারের হার বৃদ্ধি পাবে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অন্তিম কুমার সরকার পিবিএ’কে জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ১৭ হাজার ৭০০ খামারে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৪ কোরবানির পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। ওই সকল খামারে ৭১ হাজার ৮৩১ ষাঁড় গরু, বকনা গরু ৬ হাজার ১৮, মহিষ আছে ২ হাজার ৬৭৫টি, ছাগল ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫টি ও ভেড়া ১৩ হাজার ৬৭৫টিসহ অন্যান্য পশু রয়েছে ১ হাজার ১৩৬। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সাধারণত ২ শতাংশ বৃদ্ধি ধরে চাহিদা নির্ধারণ করা হয় যা এবার দেশি গরুতেই চাহিদা পূরণ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
কোরবানি ঈদের পূর্বে পশু ক্রয় বিক্রয় শুরু হবে। ইতোমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিবেশীরা পশু কিনছে। যারফলে হাটগুলো এখনো জমে উঠছেনা। ভারত থেকে গরু আসলে দেশি খামারিরা ক্ষতির সম্মুখিন হবে। প্রানীসম্পদ দপ্তর থেকে ভারতীয় পশু ক্রয় বিক্রয় না করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। সরকারীভাবে দেশি গরু ক্রয় করার জন্য পদক্ষেপ নিলে খামারিরা লাভবান হবে এবং দেশের সরকারের একটি অংশ পাবে। দেশের অর্থ দেশেই থাকবে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলে জানান রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
পিবিএ/রবি/জেডআই