নরেন্দ্র মোদির সেই চিঠি
পিবিএ ডেস্ক : ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। নিজেদের মতো করে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে আরম্ভ করেছে দেশের ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দল। পিছিয়ে নেই শাসক দল বিজেপিও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই তার লিখিত চিঠি পৌঁছে যাবে দেশের কোটি কোটি নাগরিকের বাড়িতে। নরেন্দ্র মোদী তার স্বপ্নের প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত- প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’, যা বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য প্রকল্প, তার ১০০ দিন পূর্ণ হওয়া নিয়েই চিঠি লিখবেন। ১৫.৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তত ৭.৫ কোটি চিঠি ছাপিয়েছে ভারত সরকার। দু’পাতার ওই চিঠির খামের ওপর লেখা- প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনা। ওই চিঠিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের বিস্তারিত উল্লেখও থাকবে।
চিঠিতে স্থানীয় ভাষায় লেখা নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ‘আমি আমার জীবনে দারিদ্রকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। দরিদ্রদের তাদের দুরবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার একটাই উপায়। সেটা হল, তাদের শক্তিশালী করে তোলা। সেই কারণেই, যেদিন থেকে দেশের সাধারণ মানুষ আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, সেদিন থেকেই আমার লক্ষ্য হল দরিদ্র, সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের শক্তিশালী করে তোলা। বাড়ি তৈরি করা থেকে শুরু করে যুবসমাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা পর্যন্ত বহু প্রকল্পই আমরা অতি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য পর্যন্ত সমস্ত বিভাগই সেই কাজের ছাপ বহন করে চলেছে…।’
প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনা দিয়ে চিঠিটি শেষ করার আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজালা যোজনা, সৌভাগ্য প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যোজনা এবং অন্যান্য প্রকল্পের ব্যাপারেও বিস্তারিত উল্লেখ করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী ওই বিশেষ চিঠিটিতে।
যদিও, বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, এটা নির্বাচনী গিমিক নয়। বহু মানুষ এখনও এই স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্পের সম্বন্ধে অবগত নয় বলেই এই চিঠির মাধ্যমে তাদের প্রকল্পটির ব্যাপারে জানানোর প্রয়োজন মনে করছে ভারত সরকার।
পিবিএ/জিজি